ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি : আরো ৩ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪৯
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ দশজনের মধ্যে আরো তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জনে।
‘এমভি ফারহান-৬’ লঞ্চের ধাক্কায় গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে রোববার ছয়জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে বক্তাবলী এলাকা থেকে যাদের লাশ উদ্ধার করা হয় তাদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানিয়েছেন। তাদের একজন ২২ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ ও আট বছর বয়সী তানিম। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রলার ডুবির পঞ্চম দিনে রোববার বিকেলে ধলেশ্বরী নদীর ধর্মগঞ্জ গুদারা ঘাট এলাকা থেকে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ভাসমান অবস্থায় দু’জনের লাশ এবং এর আগে সকালে চারজনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
রোববার লাশ পাওয়া গেছে মাদ্রাসাছাত্র তামিম, মোয়াজ্জেম আব্দুল্লাহ, মোতালেব মিয়া, আওলাদ হোসেন, গৃহবধূ জেসমিন বেগম তার বড় মেয়ে তাসনিম, কলেজ ছাত্র সাব্বির ও পোশাক কারখানার নারী শ্রমিক জোসনা বেগম।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আরেফিন বলেন, ‘যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে সোমবার সকালে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ নয়জনের জনের লাশ উদ্ধার করা হল। এখনো নিখোঁজ রয়েছে একজন।’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ইউএনও রিফাত ফেরদৌস জানান, সোমবার সকালে উদ্ধার করা লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মোহনার কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রলারটিতে করে শতাধিক যাত্রী নদী পার হচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে কমপক্ষে ১০ যাত্রী নিখোঁজ হন। ট্রলারের যাত্রীরা অনেকে আশপাশের নৌযানের সহায়তায় এবং সাঁতরে তীরে উঠলেও সবাই উঠতে পারেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা