পানামা পেপার্সে আসা নামগুলোর কী হলো, প্রশ্ন হাইকোর্টের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:৫৫
দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে হবে, বসে থাকার সুযোগ নাই, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে উদ্দেশ করে এমন মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
অর্থ পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে নাম আসা ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা জমা দেয়ার পর এ বিষয়ে শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করে।
এ সময় রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার দুদককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘পানামা পেপার্সে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কী করা হয়েছে, সেটা আমরা দেখতে চাই। পানামা পেপার্সে যে নামগুলো আসলো সেটা কী হলো। আপনারা না পারলে বলে দেন।’
বিচারক বলেন, ‘আমরা কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমাদের কিছু একটা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক ধরনের সংগঠন আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো সংগঠন নেই। যেটা ভারতে আছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হোক এটা আমরা চাই না। আমরা কেন? কেউই চায় না।’
এ সময় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন ভূখণ্ডের কথা উল্লেখ করে এ বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশটা বির্নিমাণ করতে হবে। রক্তের বিনিময়ে গড়া দেশটা। আমাদেরকেও কিছু একটা করতে হবে। বাংলাদেশ একটি সভরিন (সার্বভৌম) রাষ্ট্র। দেশের প্রয়োজনে এটা করতে হবে। দেশ যেটা চাইবে, সেটাই হবে। বসে থাকার সময় নাই। কাজ করতে হবে।
পরে আদালত পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে দেয় আদালত। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে সিআইডি ও বিএফআইইউকে জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুদকের পক্ষ থেকে ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা জমা দেয়া হয়। যার মধ্যে প্যারাডাইস পেপার্সে ২৯ আর পানামা পেপার্সে ১৪। এ প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর রোববার আংশিক শুনানির পর সোমবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়। এরপর আজকে পরবর্তী শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা