২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আগুনে পোড়া লাশ চেনা যাচ্ছে না, শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা

আগুনে পোড়া লাশ চেনা যাচ্ছে না, শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা - ছবি- সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরি বা সেজান জুস কারখানায় লাগা আগুনে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে ৪৯ জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) মর্গে আনা হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় এসব লাশ দেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এজন্য লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। একই সাথে স্বজনদেরও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশ শনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে ঢামেক কর্মকর্তা ও সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে তারা ঢামেক মর্গে থেকে লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তাফিজ মনিরের নেতৃত্বে এই নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে।

ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষা করেই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে ঢামেক মর্গ থেকে লাশেরগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে লাশের দাবিদার স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। যাদের সাথে ডিএনএ মিলবে, তাদের পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরি তথা সেজান জুসের কারখানার নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক স্বপ্না রানী (৪৫) ও মিনা আক্তার (৩৩)। ঘটনাস্থলেই তারা দু’জন মারা যান। এরপর মোরসালিন (২৮) নামের একজন শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে ওই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেন। মোরসালিনকে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে কারখানার চতুর্থ তলা থেকে শুক্রবার দুপুরে আরো ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া আহত অন্তত ২৫জনকে পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন।


আরো সংবাদ



premium cement