ঢামেকে আগুন : মৃত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৭ মার্চ ২০২১, ১৭:০৯, আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২১, ১৭:১৭
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা আইসিইউতে আগুন লাগার ঘটনায় মারা যাওয়া তিন রোগীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৬), আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮) ও কিশোর চন্দ্র রায় (৬৮)।
কাজী গোলাম মোস্তফার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার উজানীতে। বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণখানে থাকতেন। তার বাবার নাম কাজী বেলায়েত হোসেন।
নিহতের ছেলে কাজী মারুফ জানান, তাকে ১২ মার্চ করোনা ইউনিটে দুই নম্বরে আইসিইউ’র ৯ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক ছিলেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর আটিগ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার মিয়া।
নিহতের আত্মীয় আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি গত চার মার্চ করোনা ইউনিট-২ আইসিইউ’র দুই নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জ ঈশান নগর কারী ইসমাইল দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি।
কিশোর চন্দ্র রায়ের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলায়। থাকতেন ঢাকার মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে। তার বাবার নাম বাদীরা লাল রায়।
নিহতের মেয়ের জামাই বিপুল বসাক জানান, গত ৯ মার্চ করোনা ইউনিট আইসিইউ’র ৮ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন। তিনি চার মেয়ের জনক ছিলেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধোয়াচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো কক্ষ। এ সময় আইসিইউতে থাকা ১৪ জন রোগীকে পুরাতন বার্ন ইউনিটের আইসিইউ, নতুন ভবনের সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানান্তর করা ১৪ রোগীর মধ্যে মারা যান তিনজন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাজমুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। যে তিনজন রোগী মারা গেছেন তাদের সবাই মুমূর্ষু অবস্থায় ছিলেন। কারো অগ্নিদগ্ধের কোনো কারণ ঘটেনি। কোনো রোগী আগুনে পুড়ে বা আগুনের ধোয়া থেকে মারা গেছে এমন কোনো ঘটনা আমরা দেখিনি। তবে এটা তদন্ত করে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারব। তারা সবাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা