ফিরলেন পাইলট-কেবিন ক্রুসহ আহত ১০ জন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ মে ২০১৯, ০০:১৫
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটির আহত পাইলট, কেবিন ক্রুসহ ১০ আরোহী দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার রাতে পৌনে ১১টার দিকে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এদের মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের দুই পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু রয়েছেন।
আহত আরোহীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটের ইয়াঙ্গুন রওনা হয়। মিয়ানমার পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফ্লাইটটির বাংলাদেশে উদ্দেশে রওনা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, আহত আরোহীরা মিয়ানমারের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের সবাইকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিমানের কথা হয়েছে।
শাকিল মেরাজ বলেন, আহত আরোহীদের মধ্যে অনেকে মিয়ানমারের চাকরি ও ব্যবসা করেন। তাই যেসব যাত্রী ফিরে আসতে চেয়েছেন তাদেরই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরে আসে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি। দুর্ঘটনায় যাত্রীসহ ৩৩ আরোহীর সবাই প্রাণে বেঁচে যায়। এদের মধ্যে দুজন পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। তবে সব আরোহীই কম-বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে ইয়াঙ্গুনের নর্থ ওক্কালাপা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ যাত্রীর মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি, পাঁচজন চীনা, তিনজন মিয়ানমার, দুজন ব্রিটিশ নাগরিক। এ ছাড়া ডেনমার্ক, ফ্রান্স, কানাডা ও ভারতের একজন করে আরও চারজন যাত্রী ছিলেন।
রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া উড়োজাহাজটির তিন টুকরা হয়ে গেছে। উড়োজাহাজটি আর আকাশে উড়তে পারবে না। বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহাত হাসান জামিল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, উড়োজাহাজটি আর দেশে আনা সম্ভব হবে না।
বৈরী আবহাওয়ার কারণেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দুর্ঘটনার পরপর বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিমানের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরীকে।