০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১, ৩ শাবান ১৪৪৬
`

সমন্বয়ক হাসনাতের আশ্বাসে গভীর রাতে যমুনা থেকে সরলেন আন্দোলনে আহতরা

যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ - ছবি : সংগৃহীত

দাবি পূরণে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর আশ্বাসে গভীর রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। তারা হাসপাতালে ফিরে যাচ্ছেন।

রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে যেতে থাকেন।

এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা।

তার কয়েক মিনিট পর তাদের সাথে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে আহতরা প্রথমে তার সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

আহতরা বলেন, সরকারকে আগে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর সংস্কার, দল গোছানো ও নির্বাচন। হাসনাত, সারজিস ও সমন্বয়করা আহতদের পরিবারের খোঁজখবর না নিয়ে তারা রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে ব্যস্ত। আহতদের পুনর্বাসনের কথা সরকার শুধু বলেছে, কিন্তু তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে পাইনি।

এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীদের চিৎকার ও হট্টগোলের কারণে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তার সাথে থাকা নেতারা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

পরে রাত পৌনে ২টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ যমুনার সামনে সাংবাদিকদের জানান, আহতদের দাবিগুলো নিয়ে তিনি সরকারের সাথে আলোচনা করবেন। আহতদের দাবি অন্য কোনো সরকার নয়, একমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারই পূরণ করবে।

এর আগে রোববার দিনভর আগারগাঁও ও শ্যামলীতে মিরপুর রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। ওই রাস্তা ছেড়ে সন্ধ্যার পর তারা মিন্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করেন। রাত পৌনে ৮টায় শাহবাগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর সেখানেই তারা অবস্থান নেন।

এ বিক্ষোভের শুরু গত শনিবার সন্ধ্যায়। বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, পুনর্বাসন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ বিভিন্ন দাবিতে ওই দিন সন্ধ্যায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতে একপর্যায়ে তারা আগারগাঁও সড়ক আটকে দেন।

আন্দোলনকারীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের সরকারি গৃহায়ণ বা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, তাদের পরিচয়পত্র দেয়া ও রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা; যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা; নারী যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা; বিনামূল্যে বিমান, রেল ও বাসে চলাচলের ব্যবস্থা, যানবাহন ক্রয়ে শুল্ক-কর পরিহার করা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাষ্ট্রীয় অতিথিশালাসমূহ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আহত ব্যক্তিদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তার সাথে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সবার সাথে দেখা করেননি—এ অভিযোগে তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেন আহত ব্যক্তিরা। পরে তারা হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ওই দিন গভীর রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও একজন বিশেষ সহকারী সেখানে গিয়ে আলোচনা করেন। তারা ভোরে বিক্ষোভকারীদের হাসপাতালে ফিরিয়ে নেন। এর পরদিন ১৪ নভেম্বর সচিবালয়ে আহত ব্যক্তিদের সাথে সরকারের বৈঠক হয়। বৈঠকে সরকার জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু কাউখালীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ গাজীপুরে সপ্তম তলার দেয়াল ধসে টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত : মা-মেয়ে হতাহত রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক নাসিমের দলীয় সকল পদ স্থগিত সাংবাদিক মাজহারের পিতা শিক্ষাবিদ আব্দুস ছাত্তার সরকারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সমন্বয়ক হাসনাতের আশ্বাসে গভীর রাতে যমুনা থেকে সরলেন আন্দোলনে আহতরা বাজেট ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আরব কূটনীতিকদের যৌথ বিবৃতি আখেরি মুনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা মাউশি ও নায়েমের ডিজি নিয়োগ নিয়ে তুলকালাম সংস্কার আলাপ দীর্ঘায়িত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পাবে : তারেক রহমান

সকল