যমুনায় যাওয়ার পথে বাধা, রাস্তা অবরোধ অভ্যুত্থানে আহতদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৫০, আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৩
সাত দফা দাবি আদায়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা শুরু করেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে শাহবাগ এলাকায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর ভিআইপি সড়কে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা যাত্রা শুরু করেন।
এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিক্ষোভ করছেন অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। রোববার তারা দিনভর শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এদিকে এদিন বেলা ১১টার পর থেকেই শিশুমেলা সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করেন জুলাই আন্দোলনে আহত পঙ্গু হাসপাতাল ও চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা।
ওইসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তারা।
অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেয়ার চিন্তায় সরকার
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার অতি বেশি সহানুভূতিপ্রবণ। তাদের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘শহীদদের ব্যাপারেও সরকার অতি দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের ব্যাপারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা হচ্ছে। এই সপ্তাহের মধ্যে সেই তালিকা সম্পন্ন করতে পারব।’
এ সপ্তাহের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর গঠন হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অধিদফতরের অধীনে একটা নীতিমালা হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে হতাহতদের যাবতীয় সহায়তা দেবে সরকার।’
‘সরকার এ কাজগুলো যতটা দ্রুততার সাথে সম্ভব সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এ ত্যাগ ইতিহাসে অমোচনীয় এবং এই গৌরব জাতি সমভাবে তাদের সাথে ধারণ করে। তাদের আত্মত্যাগের গৌরব আমরা অমলিন করে রাখতে চাই- এটা যেন অনাগতকালেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।’
চলতি অর্থবছরে নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেয়া হবে এবং আহতদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহায়তা দেয়া হবে। আহত-নিহতদের সহায়তায় চলতি অর্থবছরে ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ফারুক-ই আজম।
তিনি আরো বলেন, ‘আহতদের সারা জীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দিয়ে দেয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।’
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা