২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬
`

সীমান্তে বাংলাদেশের বাঁধ সংস্কার : কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নালিশ ত্রিপুরার

ভারত অভিযোগ করেছে সীমান্ত পিলারের খুব কাছেই বাঁধের জন্য মাটি ফেলেছে বাংলাদেশ - ছবি : বিবিসি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তে মনু নদীর উপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে বাঁধ দেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

ত্রিপুরা সরকারের অভিযোগ, সীমান্ত পিলারের খুব কাছেই বাঁধের জন্য মাটি ফেলে রাখা হয়েছে – যা দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী করা যায় না।

দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করে আগরতলায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উনকোটি জেলার কৈলাসহরের পাশে যেখানে বাঁধ নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে, সেই এলাকাটি সরেজমিনে দেখে এসেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তাদের রিপোর্টের সাথেই উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি ইত্যাদি সব কিছুই তিনি দিল্লিতে জমা দিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, ‘এটা খুবই সিরিয়াস বিষয়। ওখানে যে সীমানা ফলক আছে, তার ৪০-৫০ মিটারের মধ্যেই বাঁধ দেয়া হচ্ছে। কোনোভাবেই উচিত না এটা। এরফলে পুরো কৈলাসহরের দিকে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে পানি জমে যাবে। এটা কাম্য নয়।’

মনু নদীর ওপরে কৈলাসহরের কাছে যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নদী বাঁধ দেয়া হচ্ছে, সেটা প্রথম ত্রিপুরা বিধানসভায় তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিনহা।

তিনি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ তাদের অংশে মনু নদীর বাঁধ সংস্কার এবং উচ্চতা বাড়ানোর কাজ চালাচ্ছে এবং এর ফলে তার এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দেবে।

বীরজিত সিনহা অবশ্য উল্লেখ করেছিলেন যে ওই মনু নদীতেই ভারতের দিকে যে বাঁধ আছে, সেটি সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে।

এই বাঁধ দুটি অবশ্য নদীর মাঝ বরাবর যে ড্যাম বা ব্যারাজ বানানো হয়, সেরকম নয়, নদী-পাড়ের ভাঙ্গন আটকাতে দেয়া হয়েছে এই বাঁধ।

এরপরেই গত শুক্রবার ওই বাঁধের অঞ্চলটি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। তার দেয়া রিপোর্টই জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিবিসি বাংলাকে আগেই জানানো হয়েছিল যে তারা কোনো বাঁধ নতুন করে বানাচ্ছে না, প্রায় চার দশকের পুরনো একটি বাঁধের সংস্কার করা হচ্ছে মাত্র।

বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ খালেদ বিন অলীদ বিবিসিকে বলেন, ভারতের কৈলাশহর ডুবে যাবে, এমন আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে তিনি মনে করেন।

তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন যে মনু নদীর বাঁধ সংস্কারের কাজ ‘চলমান রয়েছে’।

‘বাঁধটি আগে থেকেই ছিল। কিছু জায়গায় উঁচু নিচু ছিল। ডিজাইন অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় একেক লেভেলে, যতটুকু দরকার ততটুকু করছি। আবার তিনটি পয়েন্টে উনাদের বাধার জন্য আমরা কাজ করতে পারছি না,’ বলেন তিনি।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা তথ্য উপদেষ্টার সাথে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের মতবিনিময় দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিপিএলে ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা ফিলিস্তিনি সাবেক এমপির বর্ণনায় ইসরাইলি কারাগারের অমানবিক পরিস্থিতি দুই গ্রামের ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কোম্পানিগঞ্জ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারে আল্টিমেটাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পিলখানা হত্যাকাণ্ড : ১৭৮ বিডিআর জোয়ানের কারামুক্তিতে বাধা নেই পিএসএলে দল না পেয়ে হতাশ নন তাসকিন তাড়াশে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় উত্তেজনা

সকল