মোল্লা নজরুলসহ গাজীপুরের সাবেক ৩ পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের বিচারের দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৫
অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, অর্থ লুটপাটসহ একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, সন্ত্রাসী দিয়ে পিটিয়ে দুই-পা ভেঙ্গে দিয়ে হত্যাচেষ্টার বিচারের দাবিতে মোল্লা নজরুলসহ গাজীপুরের সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তার মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানবন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ রিয়াজুল করিম বলেন, আমাদের নীট সিটি লিমিটেড, সি-৩২/১, মোগরখল, গাজীপুরস্থ ফ্যাক্টরীর বিল্ডিং মালিকের অবৈধ ঝুট ব্যবসা দাবি করায় আমার সাথে দ্বন্দ্ব হওয়ার কারণে বিজ্ঞ আদালতে বিল্ডিং মালিকদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করিলে শুনানিতে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, পরে বাড়ি ভাড়া বকেয়া থাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাধ্যমে সমাধান হওয়ার পর তখনকার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল কর্মরত থাকা অবস্থায় তার যুগ্ম কমিশনার মো: দেলোয়ার হোসেন কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও বিল্ডিং মালিকদেরকে দিয়ে চলন্ত ফ্যাক্টরি তালাবদ্ধ করে আমাদের কাছে দুই কোটি টাকা অবৈধভাবে দাবি করেন এবং শাহ নেওয়াজ নামের এক লোকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা নেয়ার পরে ফ্যাক্টরি না খুলে পুনরায় আমাদের সাথে বিল্ডিং মালিকদের সালিশ করে ফ্যাক্টরি খুলে দেয়ার আশ্বাসে ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। এর পর ৫০ লাখ নিয়া ফ্যাক্টরি খুলে দেয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ওসি ডিবি জাহিদ ওই টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ফ্যাক্টরি খুলে দিতে বিলম্ব করলে আমি কমিশনার মোল্লা নজরুলকে অবগত করি, তখন মোল্লা নজরুল উপ-কমিশনার দেলোওয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে দেলোওয়ার হোসেন ওসি ডিবি জাহিদ -এর মাধ্যমে গত বছরের ১৭ মার্চে আনুমানিক রাত ৯টায় আমাকে ফোন করে ফ্যাক্টরি খুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ১৮ তারিখে সকাল ৮টায় আমাকে ফ্যাক্টরিতে যেতে বলেন। আমি ওই মাসের ১৮ তারিখে ফ্যাক্টরির সামনে উপস্থিত থাকা অবস্থায় বিল্ডিং মালিক খাইরুল ইসলাম সন্ত্রাসী লোকজনসহ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশে নৃশংসভাবে হামলা চালায় ও হামলার পরে আমাকে মৃত মনে করে সকল হামলাকারী পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে আমার গুরুতর অবস্থা থাকায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে আমাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসার সময় অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হইলে আমাকে উত্তরা সিন সিন জাপান হাসপাতালে তাৎক্ষণিক ভর্তি করে অপারেশন করে। আমার ফ্যামিলি তাৎক্ষণিক বাসন থানায় অভিযোগ করলে তখনকার পুলিশ অফিসাররা কোনো আসামিকে গ্রেফতার করে নাই এবং আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমার ফ্যাক্টরির সমস্ত মালামাল, মেশিনারিজ ও ফায়ার পাম্প জেনারেটরসহ সমস্ত সরঞ্জাম তাৎক্ষণিক লুট করে নিয়ে যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য পনের কোটি টাকা। তখন আমাদের কর্মচারী মো: রফিকুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করিলে থানা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা ব্যবহার গ্রহণ করেন নাই।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আজমুল হকের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মনিরুল ইসলাম মনির, ঢালী মো: সুমন মাস্টার, রাজু আহমেদ রাজ, শামীম শেখ, সৈয়দ আনিসুর রহমান টিটুসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা