০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের কমিটি ভেঙে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ

চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের কমিটি ভেঙে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ - ছবি : সংগৃহীত

সমাজ সেবা অধিদফতর অবৈধভাবে চাঁদনী চক বিজনেস ফোরাম’র কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

তাদের দাবি, সংগঠনের সদস্য পদ হারানো একজন ব্যক্তির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সমাজ সেবা অধিদফতরের কিছু কর্মকর্তা অসত্য তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে এই প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সমাজ সেবা অধিদফতর এভাবে কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসাতে পারে না।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন চাঁদনী চক বিজনেস ফোরাম’র সভাপতি মো: নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন হাওলাদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আমীর হোসেন রোমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কালাম শেখ, কোষাধ্যক্ষ মো: জয়নাল আবেদীন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো: আব্দুর রাজ্জাক রিপন, সহ-কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক চিশতী, দফতর সম্পাদক জামাল আহমেম্মদ মাসুম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, ২০১৭ সালে চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে পর পর তিনবার নির্বাচিত হয়ে আমরা মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ সব সময় মার্কেটে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আমাদের ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পাশ করে। তখন প্রতিপক্ষ সেই ফলাফল মেনে নেয়। কিন্তু সরকারের পট পরিবর্তনের পর হঠাৎ করে সমাজ সেবা অধিদফতর অন্যায়ভাবে আমাদের কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের কমিটির মেয়াদ ২০২৬ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

তিনি আরো বলেন, সমাজ সেবা অধিদফতর মনগড়া একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আমাদের কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এটা করা হয়েছে আইন বহির্ভূতভাবে। বিষয়টি এখন উচ্চ আদালতে চলে গেছে। আদালতের কাছে আমরা ন্যায্য বিচার চাই। সমাজ কল্যাণ অবৈধভাবে আমাদের কমিটি ভেঙে দিয়েছে। এটা যেন প্রত্যাহার করা হয়, সেটাই আমাদের দাবি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি করা হয়, চাঁদনী চকে প্রায় ৬০০ দোকান মালিকের শত কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ৫-১০ জন দোকান মালিকের সহায়তায় সমাজ কল্যাণের এক-দু’জন কর্মকর্তার মাধ্যমে অসত্য তদন্তের ভিত্তিতে নির্বাচিত কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের এই ধংসের খেলা বন্ধ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement