২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জুরাইনে রিকশাচালকদের অবরোধ : ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

রিকশাচালকেরা ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলতে দেয়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন - ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর জুরাইন রেলক্রসিং অবরোধ করে রাখা ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সরে যাওয়ার পর বিকেল ৩টার দিকে আবারো ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রিকশাচালকেরা ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলতে দেয়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র বলছে, বেলা ১১টার দিকে দুই শতাধিক রিকশাচালক জুরাইন রেলক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা রেললাইনের প্রতিবন্ধক নামিয়ে দেন। এতে আশপাশের সড়কগুলোয় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। তবে রিকশাচালকেরা রেললাইনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এরপর পুলিশের সাথে চালকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে চালকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে রেললাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রেল চলাচল শুরু হয়।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে এবং লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। বেলা দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানীর চারটি জায়গায় ছয়-সাত ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। দুপুরে মহাখালীতে রিকশাচালকদের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ওই এলাকার একাধিক ভবন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেন। গতকাল সকাল ৯টা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা ঢাকার সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল