ট্রেনে ঢিল ছুড়ে সমালোচনার মুখে তিতুমীর কলেজের আন্দোলনকারীরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:১৮
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালানোর সময় চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে কয়েকজনকে আহত করার পর এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
সোমবার তারা মহাখালী রেলগেট অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তখন তারা একটি চলন্ত ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় শিশুসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এই ঘটনায় আহত ও রক্তাক্তদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
ফেসবুকে অনেকেই এখন হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘বয়কট তিতুমীর কলেজ’ লিখছেন। কেউ কেউ আবার এও ঘোষণা দিয়েছেন যে তিতুমীর কলেজের কোনো শিক্ষার্থী যদি চাকরির জন্য সিভি জমা দেয়, তাহলে তাকে চাকরি দেয়া তো পরের বিষয়, সেই সিভি গ্রহণই করা হবে না।
তবে মঙ্গলবারও এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত ‘কলেজ শাটডাউন’ কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রধান ফটকের কাছে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
ট্রেনে হামলার ‘দায়ভার রাষ্ট্রের’?
সোমবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালী রেল ক্রসিং এলাকা অবরোধ করেন। তারা ওই কর্মসূচির নাম দিয়েছিল ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’।
তবে শিক্ষার্থীদের সেই রেলপথ অবরোধকে উপেক্ষা করে কিছুক্ষণের মাথায় কমলাপুরগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতগতিতে মহাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করে।
সোমবারের ঘটনার যে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তা থেকে দেখা যায় ওই সময় আন্দোলনকারীরা ট্রেনকে লাল কাপড় দেখিয়েছিল। কিন্তু ট্রেন থামেনি।
তখন আন্দোলনকারীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনে পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন এবং ট্রেনের কিছু জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়।
বাংলাদেশে এখন কোনো আন্দোলন হওয়া মানেই যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগেও সড়ক পথ অবরোধ করে যানবাহন ভাংচুর করা বা আগুন লাগিয়ে দেয়া, ট্রেন থামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ জানা যাচ্ছে যে, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব কিনা খতিয়ে দেখতে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।
সেই ট্রেনের গার্ড মাহমুদুল হাসান জুয়েল বলেন, অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।
‘সোমবার প্রোপার স্পিডেই আসছিলাম আমরা। হঠাৎ গাড়ি স্লো হইতে হইতে দাঁড়ায়ে গেল। দুই মিনিট পর গাড়ি টান দিল। তখনো বুঝে উঠতে পারি নাই কী হচ্ছে। পরে ড্রাইভারকে কল দিলাম। বললো যে ব্যানার ফ্ল্যাগ দেইখা গাড়ি দাঁড় করছি। তারপর বৃষ্টির মতো ঢিল মারা শুরু করছে।’
‘তখন ওই মুহূর্তেই টান দিয়া বাইর হইয়া গেল। ওই সময় টান না দিলে ক্ষয়ক্ষতি আরো হইতো।’
ট্রেনের গার্ড জুয়েল নিজেও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকালের ওই ঘটনার পর তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট দেন।
তিনি সেখানে লিখেন, ‘আমি লজ্জিত, আমি তিতুমীর কলেজের ছাত্র ছিলাম, আজকের ঘটনা আমি নিজে দেখেছি, তাদের পাথরের আঘাতে ট্রেনের ভেতরের ছোট বাচ্চাসহ কত যাত্রী আহত হয়েছে, ট্রেনের ক্ষয়ক্ষতির কথা বাদ ই দিলাম, একটা ৬২ গতির ট্রেন দাঁড়াতে তো একটু সময় লাগেই।’
‘ট্রেন দাঁড়িয়ে যখন যায়, তখন বৃষ্টির মতো পাথর মারা হয়; এল এম সাহেবের দক্ষতায় দ্রুত আবার ট্রেন চালিয়ে স্পট থেকে চলে যাই, তা না হলে আরও অনেক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যেতো।’
ওই পোস্টে একটি মন্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘অল্পের জন্য আমি নিজেই রক্ষা পেয়েছি।’
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সোমবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শুনেছি, ট্রেনের মাঝে ইট মেরে নারী-শিশুকে আহত করা হয়েছে। এটা কী ধরনের আন্দোলন?’
তার মতে, অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তবে ট্রেনে হামলার এই পুরো বিষয়টাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নুরুদ্দীন হোসেন জিসানের। তিনি এই আন্দোলনের একজন মুখপাত্রও।
তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি শুরুতেই বলেন, ‘খবরের শিরোনাম হওয়া উচিৎ ছিল তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর দিয়ে রেল যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেটা না হয়ে হয়েছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রেলের যাত্রীকে ইটপাটকেল মেরেছে এবং আহত হয়েছে।’
এরপর তিনি বলেন, তারা আরো সাত দিন আগে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তাদের কর্মসূচিতে স্পষ্টভাবে বলা ছিল যে রেলপথ অবরোধ হবে এবং সেটি রেল কর্তৃপক্ষকে বারবার তা জানানোও হয়েছে।
‘গুলশান-বনানীতে প্রশাসনের লোকদেরকে কালও জানানো হয়েছে। কাল আমাদের যাওয়ার কথা ছিল ১১টায়। কিন্তু আমরা কিছুক্ষণ পরে যাই। তখন হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত।’
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় বাংলাদেশে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে
তিনি বলেন, ‘কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ রেলটা না থামিয়ে ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়ার পরিস্থিতি করেছে। তখন শিক্ষার্থীরা ছিটকে পড়ে যায়, অনেক শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতো।’
তার মতে, 'সাত দিন আগে থেকে যেহেতু জানানো হয়েছে, তাই এখানে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ ছিল, এই দায়ভার তিতুমীরের শিক্ষার্থীর না, দায়ভার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের।'
সোমবারের ওই ঘটনার কারণে মঙ্গল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের দায়ী করে একটি মামলা করেছেন ট্রেনের গার্ড জুয়েল।
ঢাকা রেলওয়ে বিভাগের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি এখন তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের শাস্তিস্বরূপ সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সেইসাথে, অর্থদণ্ড তো আছেই।
দাবি নিয়ে তিতুমীর কলেজ দুই ভাগে বিভক্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাতটি কলেজকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সেই সাত কলেজের মাঝে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। এই কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ সাত কলেজের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে থাকতে চায় না। তারা চায়, তিতুমীর কলেজ আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হোক।
মঙ্গলবারে ওই আন্দোলনের পর তো এই বিষয়টি আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কলেজের শিক্ষার্থী নুরুদ্দীন হোসেন জিসান বলেন, ‘আমরা এককভাবে, স্বতন্ত্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানাই। আমরা তিতুমীর কলেজ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে নাই।’
তার মতে, তাদের এই দাবি আজকের না। ১৯৯৭ সাল থেকে তারা (শিক্ষার্থীরা) এই দাবি জানাচ্ছেন এবং সেই ধারাবাহিকতায়ই ‘নিজেরা লাভবান না হলেও বৃহত্তর স্বার্থে’ তারা এই আন্দোলন করছেন।
‘বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সকল যোগ্যতা তিতুমীর কলেজের রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাঝে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নাই। আমাদের ভবন, আবাসিক হল, জমি– সব আছে।’
তবে যারা তিতুমীর কলেজকে অন্য সাতটি কলেজ নিয়ে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাখার পক্ষে, তাদের সাথেও কথা হয়েছে বিবিসি বাংলা’র। তবে তারা কেউ নাম প্রকাশ করতে চায়নি।
তাদেরই একজন বলেন, ‘যারা তিতুমীর কলেজকে একক বিশ্ববিদ্যালয় করার পক্ষে, তারা মনে করছেন- সেন্ট্রালে তারা আগের মতোই বৈষম্যের শিকার হবে বা এটি ন্যাশনালের টু পয়েন্ট জিরো হবে।’
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কিছুই ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রালের সবকিছু অনুষদভিত্তিক হবে।’
এই শিক্ষার্থীরা মনে করছেন যে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ পৃথক দাবি জানানোয় সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের যে কাজ, তাতে বাধা পড়েছে।
এই কলেজের শিক্ষকরা কী ভাবছেন, জানার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তাদের কেউ কেউ এমন ‘জনগুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
কিন্তু একক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানানো শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পাশে আছেন। আর, অপর পক্ষের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘শিক্ষকরা কারো পক্ষেই না। কারণ এটা বাস্তবায়ন হয়ে গেলে তাদের পোস্টিং অন্য জায়গায় চলে যাবে। সেজন্য ওনারা এই আন্দোলনেরই বিপক্ষে।’
ঢাকায় সর্বশেষ ২০০৫ সালে জগন্নাথ কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।
এই সমস্যার সমাধান কোথায়?
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথায় এটি স্পষ্ট যে সরকার চলমান ঘটনা নিয়ে উভয় সঙ্কটে আছে।
তিনি বলেছেন, ‘আপনি ওভারনাইট বলবেন, একটা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানায়ে দিবে, এইসএসসি পরীক্ষা দিবো না আমার রেজাল্ট বদলায়ে দিতে হবে, এখন এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও সবাই সমালোচনা করা শুরু করে যে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিলো, এটা আগেরই পুলিশ কি না।’
এই দু’ইয়ের মাঝে ভারসাম্য রাখা একটু কঠিন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এই ধরনের হয়রানিমূলক, জিম্মি করামূলক আন্দোলনের বিপক্ষে সাধারণ জনমত জোরদার হচ্ছে।’
‘সবার মাঝে যখন এই ধরনের বোধ জাগ্রত হবে যে আমরা বেশি ভালোবাসা দিচ্ছি, নরম থাকছি বলে পেয়ে বসছে, তখন আমাদের শক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। শক্ত যখন হবো, খুব ভালোভাবেই হবো।’
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসে। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানকে একটি বড় অবস্থানে দেখতে চায়, সেটা চাওয়া তো অস্বাভাবিক না।’
‘কিন্তু আমরা যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আছি, তারা কী করতে পারি? সবদিক বিবেচনা করে তার কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার মতো কি না, সেটি ছেলেমেয়েদের সাথে বসে জানিয়ে দিলেই তো হয়।’
‘তাদেরকে তো স্পষ্ট করে কিছু দেখাতে হবে। নাহলে আজ তারা বিশ্ববিদ্যালয় চাইবে। আরেকটা অংশ বলবে, স্পেশালাইজড বিশ্ববিদ্যালয় হোক। দাবি তো তার করতেই পারবে।’
তবে শিক্ষার্থীদের এই দাবী যৌক্তিক কি না, তা জানতে চাইলে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের একটি অংশ যদি বলে, বিশ্ববিদ্যালয় করে দিতে হবে, তাহলে খুব শিগগিরই অন্যান্য কলেজ থেকেও সেই দাবি উঠবে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানকেও বিশ্ববিদ্যালয় করে দিলে কিছু যায় আসে না, যদি তার অবকাঠামো শিক্ষার মান ঠিক থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় করার একাডেমিক প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।’
‘যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপার আছে, যেখানে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ব্যাপার আছে, যেখানে একাডেমিক এক্সিলেন্সির ব্যাপার আছে, সেটি যদি যথাযথভাবে পূরণ না করা হয়, তাহলে একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চাইলেই সেটিকে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়া যায় বলে আমি মনে করি না।’
মঙ্গলবার বিকেলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে যাওয়ার পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাদের সাথে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কিনা সে বিষয়ে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি