২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে’

‘সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে’ - সংগৃহীত

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি' (সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র আন্দোলন)।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে সংগঠনটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

সমাবেশে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশের কাছে নারিকেল দ্বীপের (সেন্টমার্টিন) গুরুত্ব অনেক। পরিবেশ রক্ষার নামে নারিকেল দ্বীপ ভ্রমণে সরকারি বাধা একদিকে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ভারতীয় পর্যটনকে লাভবান করবে, অন্যদিকে নারিকেল জিঞ্জিরা জনশূন্য হয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে মিয়ানমারের মগ-আরাকান দস্যুদের বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হবে। তাই নারিকেল দ্বীপে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নারিকেল দ্বীপ, তথা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

সংগঠনটির সদস্য সচিব মুহম্মদ মিনহাজ তৌকি বলেন, নারিকেল দ্বীপের ১০ থেকে ১২ হাজার বাসিন্দার প্রায় সবারই উপার্জনের একমাত্র উৎস পর্যটন। তাই ওখানকার পর্যটন শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্বীপটি জনশূন্য হয়ে যাবে। ফলে একসময় পাশের মগ ও রাখাইনরা নারিকেল দ্বীপে এসে বসবাস শুরু করবে। মিয়ানমানের এই মগ ও রাখাইনরাও দাবি করতে পারে যে তারাই নারিকেল দ্বীপের আদিবাসী। নারিকেল দ্বীপ তাদের দিয়ে দিতে হবে।

স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ শাকিল মিয়া বলেন, এর আগের মিয়ানমার সরকারের কয়েকটি ওয়েবসাইটে নারিকেল দ্বীপকে (সেন্টমার্টিন) তাদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কাজেই নারিকেল দ্বীপে বাংলাদেশী নাগরিকদের যাতায়াত ও অবস্থানে যেকোনো বিধি নিষেধ আরোপ দ্বীপটিকে তার অস্তিত্ব ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।

প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ' শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটসহ দ্বীপের স্থানীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও সংহতি জানিয়ে যোগ দেয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement