২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তুরস্কে সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় দৃষ্টি জুড়ায় নান্দনিক এ মসজিদ

তুরস্কে সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় দৃষ্টি জুড়ায় নান্দনিক এ মসজিদ - ছবি : সংগৃহীত

এক হাজার ১৩০ মিটার উঁচু একটি পাহাড়। নাম ‘আল কিবলা’। এখান থেকে আশপাশের কয়েকটি জেলার দৃশ্যপট দৃষ্টিগোচর হয়। পাহাড়টি তুরস্কের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ রিজের গনি-সু জেলায় অবস্থিত। সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম পাহাড়টির রয়েছে সুন্দর একটি টিলা।

এই টিলাতেই ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে চমত্কার মসজিদটি গড়ে তোলা হয়। পাহাড়ের নামের সাথে মিলিয়ে মসজিদেরও নামকরণ করা হয় আল কিবলা মসজিদ। বছরের প্রায় সব মৌসুমে এ মসজিদে নামাজ পড়তে কিংবা পরিদর্শনে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ভীড় জমায়।

এই মসজিদের আরেকটি নাম আছে। তা হলো- ‘হাজি ইউসুফ ইয়ালমাজ মসজিদ’। সম্ভবত তিনিই এটি তৈরি করেছেন। শুরুতে মসজিদের মূল কাঠামো তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হয়। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত হাজি ইউসুফ নির্মিত কাঠের তৈরি স্থাপনাটিই ছিল। এরপর হঠাৎ এক অগ্নিকাণ্ডে ভস্ম হয়ে যায় পুরনো স্থাপনাটি। পরে তা ইট-সুরকি দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

২০১০ সালে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান আল কিবলা মসজিদ পরিদর্শনে যান এবং তা সংস্কার ও পরিবর্ধনের নির্দেশ দেন। তখন মসজিদটি আধুনিকায়ন ও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। সংস্কারের পর মসজিদের ভেতর-বাইরের স্থাপত্যসৌকর্য ও মনকাড়া দৃশ্য তাকে আরো বেশি পর্যটকপ্রিয় করে তোলে।

মসজিদ পরিদর্শনকারীদের সুবিধার্থে ভূপৃষ্ঠ থেকে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সুবিধাসংবলিত পিচঢালা রাস্তা। এতে নিয়মিত দূরত্ব রেখে একাধিক চায়ের দোকান, কফিশপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আছে সুন্দর একটি সবুজাভ পার্ক। এখানে সুন্দর একটি বিশ্রামাগারও রয়েছে। তুর্কি সরকারের ধারণা, আগামীতে আল কিবলা মসজিদটি আরো বেশি পর্যটনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

সূত্র : তুর্কি প্রেস ও উইকিপিডিয়া আরবি


আরো সংবাদ



premium cement