২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মক্কার মাটি দিয়ে তৈরি ভারতের যে মসজিদ

মক্কার মাটি দিয়ে তৈরি ভারতের যে মসজিদ - ছবি : সংগৃহীত

নাম মক্কা মসজিদ। কিন্তু বাস্তবে এটি পবিত্র নগরী মক্কার কোনো মসজিদ নয়। আলোচিত এই মসজিদটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদ জেলায় অবস্থিত। মসজিদটির মূল ভবনের ইট তৈরির জন্য মাটি আনা হয় সৌদি আরবের মক্কা থেকে। তাই মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে ‘মক্কা মসজিদ’। মসজিদটি ভারতের বৃহৎ ও প্রাচীন মসজিদগুলোর অন্যতম এবং ঐতিহাসিক পুরাতন হায়দ্রাবাদ শহরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা।

কুতুব শাহি সাম্রাজ্যের পঞ্চম শাসক মোহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ মসজিদটি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মসজিদটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং পুরো শহরের পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। মসজিদটির সামনের খিলানগুলো গ্রানাইডের টুকরা দিয়ে নির্মিত। এগুলো নির্মাণে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। মসজিদটি নির্মাণে পাঁচ হাজার শ্রমিক অংশ নেন। মসজিদটির ভিত্তি স্থাপন করেন মোহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ। পরে মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেব হায়দ্রাবাদ জয়ের পর মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ করেন।

মসজিদের প্রধান নামাজ কক্ষটির দৈর্ঘ্য ১৮০ ফুট। প্রস্থ ২২০ ফুট আর উচ্চতা ৭৫ ফুট। একসাথে ১০ হাজার মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন।

মসজিদটির প্রধান নামাজকক্ষটির ছাদ স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি খিলানের ওপর। এই ১৫টি খিলান সাজানো হয়েছে তিনটি সারিতে। প্রতিটি সারিতে রয়েছে পাঁচটি করে খিলান। মসজিদের প্রধান স্থাপনা দু’টি বিশাল অষ্টাভুজাকৃতির কলাম দ্বারা সংগঠিত। প্রতিটি কলাম তৈরি করা হয়েছে একটিমাত্র গ্রানাইডের টুকরা দিয়ে। মসজিদের মূল ভবনের ছাদের চার দেয়ালের বাইরের অংশ গ্রানাইড ব্লক দিয়ে আবরণ দেয়া।

মসজিদটির কাছেই ঐতিহ্যবাহী চৌমহল্লা, লাদ বাজার ও চারমিনার অবস্থিত। এই মসজিদের স্থাপনার সাথে ঐতিহাসিক চারমিনার ও গোলকন্দা দুর্গের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

মসজিদ এলাকায় প্রবেশ দরজায় কোনাকুনি আকৃতির একটি দালান আছে। যেখানে মার্বেল পাথরের আবরণকৃত কিছু কবর আছে। এই স্থাপনাটি তৈরি করা হয় আসাফ জহির শাসনামলে। এই ভবনে বাদশা নিজাম ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাদি বিদ্যমান।

মক্কা মসজিদটি ভারতের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। দীর্ঘদিন এটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং দুষণের ফলে এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার অনেক অংশ নষ্ট হয়ে যায় ও ভেঙে যায়। ১৯৯৫ সালে এই স্থানে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। তাই ভবিষ্যতে এই স্থাপনাটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা জন্য অন্ধ্র প্রদেশ সরকার ২০১১ সালের আগস্ট থেকে যানবাহনমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পেতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে : সাকি নাটোরে বাসে তল্লাশি, সাড়ে ৯ লাখ জাল নোটসহ গ্রেফতার ৫ জনগণ সংস্কার কম বুঝে, আগে জিনিসপত্রের দাম কমান : গয়েশ্বর রায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৬ চুয়াডাঙ্গায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের গহনা জব্দ চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি ফরায়েজী ও সেক্রেটারি বেলাল ফ্যাসিবাদ মোকাবেলায় আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ থাকতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান ১৮ বছর পর রামগড়ে জামায়েতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ কটিয়াদীতে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু আমাদের রাষ্ট্র যারা পরিচালনা করেন তারা কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না : শিবির সেক্রেটারি রমজানে বাজার সহনশীল করার চেষ্টা করছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

সকল