২০২০ সালের আজকের দিনে জাদুঘর থেকে মসজিদে রূপান্তরিত হয় আয়াসোফিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জুলাই ২০২২, ২১:৪১, আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২, ২১:৪৩
২০২০ সালের আজকের দিনে (২৪ জুলাই) তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়াসোফিয়া মসজিদে রূপান্তরিত হয়। এর আগে একই বছরের ১০ জুলাই তুরস্কের শীর্ষ আদালত ১৯৩৪ সালে জারিকৃত ফরমান বাতিল ঘোষণা করে আয়াসোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয়। পরে ২৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে জুমার নামাজের মাধ্যমে আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তর করা হয়। ১৯৩৪ সালের ওই রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন তুর্তি সরকারের বিতর্কিত ফরমান (আয়াসোফিয়াকে মসজিদ থেকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করণ) বাতিল বলে গণ্য করা হয়।
ঐতিহাসিক আয়াসোফিয়াকে পুনরায় জামে মসজিদ হিসেবে রূপান্তরে সফলতা অর্জন করে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা রজব তাইয়েব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান তুরস্ক। সাদা চোখে একটি ঐতিহাসিক স্থাপনাকে নিছক মসজিদে রূপান্তর বলে মনে হলেও আদতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী এই নেতাকে পাশ কাটাতে হয়েছে বিশ্বনেতাদের চোখ রাঙানি। লড়তে হয়েছে আইনি লড়াইও!
আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘ চড়াই-উতরাই শেষ হয় ২০২০ সালের ১০ জুলাই। তুরস্কের শীর্ষ আদালত এইদিনে দেশটির স্থপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের জারিকৃত ফরমান বাতিল ঘোষণা করে এবং আয়াসোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয়।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আয়াসোফিয়া ষষ্ঠ শতাব্দীতে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল।
সুলতান মোহাম্মাদ আল ফাতিহ কর্তৃক কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পূর্বে ৯৬১ বছর পর্যন্ত গ্রীক অর্থোডক্স চার্চের মূলকেন্দ্র বা ক্যাথিড্রাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। তৎকালীন বাইজেন্টাইনরা সেখান থেকেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র ও কূটচাল চালাতো। তবে ১৪৫৩ সালে সুলতান মোহাম্মাদ আল ফাতিহের নেতৃত্বে কনস্টান্টিনোপল বা ইস্তাম্বুল বিজয় হলে একটি রাজকীয় মসজিদে রূপান্তরিত হয়।
ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর সুলতান মোহাম্মাদ আল ফাতিহ এটিকে মসজিদ হিসেবে ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। ওয়াকফের পর থেকে প্রায় ৫০০ বছর পর্যন্ত মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে হাজার বছরের পুরোনো ও বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি। কিন্তু আধুনিক তুরস্কের স্থপতি কামাল আতাতুর্কের শাসনামলে ১৯৩৪ সালে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয় ধর্মীয় গুরুত্ববহ ঐতিহাসিক আয়াসোফিয়াকে।
মসজিদ হিসেবে পুনরায় বৈধতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত তা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও তুরস্কের জাদুঘর হিসেবে দীর্ঘ ৮৬ বছর পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো, যা কি না এক সময় মসজিদের পাশাপাশি ওসমানিয়া খেলাফতের প্রধান কার্যালয় হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছিলো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা