আরবের বাইরে নবীদের পদচারণায় শীর্ষ শহর
- বেলায়েত হুসাইন
- ০৩ মার্চ ২০২২, ১৭:২৫
ইসলামে পবিত্রতায় শীর্ষ তিন শহর যথাক্রমে মক্কা, মদিনা এবং আল কুদস (জেরুসালেম)। এর বাইরের আরেকটি শহর শানলিউরফা, যা নবীদের শহর নামেও বেশ পরিচিত। বেশ কয়েকজন শীর্ষ নবী-রাসূলের পদধূলিতে ধন্য হওয়ায় স্থানীয় মুসলিমরা এটিকে বিশ্বের চতুর্থতম পবিত্র শহর জ্ঞান করে।
শানলিউরফা দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে অবস্থিত ঐতিহাসিক এক শহর, যেখানে আজও প্রাচীন কালের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতিচিহ্ন সম্বলিত চিত্তাকর্ষক বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন অবশিষ্ট রয়েছে।
সিরীয় সীমান্তবর্তী এ শহরকে নিয়ে কাতার ভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম আলজাজিরা একটি নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, এক গবেষক পর্যটক শানলিউরফা সম্পর্কিত একটি বই আবিস্কার করেন, যেখানে কালো কালির হরফে কয়েক হাজার বছর আগের শহরটির ইতিহাসকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এতে উল্লেখ আছে-এখানের প্রাচীন সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনার কথা।
অনেক আগে থেকেই দজলা-ফোরাত বিধৌত শহরটিতে বিভিন্ন জাতিসত্তার অধিবাসীর বসবাস। এদের মধ্যে আরব, কুর্দি, তুর্কি, শারাখসি এবং ফরাসি জাতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে এদের আদি অধিবাসীদের বেশিরভাগ আরব বংশোদ্ভূত।
আরব ঐতিহাসিক আবুল ফারাজের মতে, আল্লাহর নবী হজরত নুহ আ:-এর প্রলয়ঙ্কারী বন্যার পরে পৃথিবীতে যে সাতটি জনবসতি গড়ে ওঠে তার মধ্যে শানলিউরফা-ই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আনাতোলিয়ায় ইসলামের প্রবেশদ্বার আখ্যায়িত করা হয় প্রাচীন এ শহরকে। এজন্য আগে-পরে সবসময়-ই মুসলমানদের কাছে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনের একটা অংশ এখানে কাটিয়েছেন বেশ কয়েকজন নবী ও রাসুল আ:। এদের মধ্যে হজরত ইবরাহিম, হজরত লুত, হজরত ইয়াকুব, হজরত আইয়ুব, হজরত ইলিয়াস এবং হজরত শুয়াইব আ: বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব নবী-রাসূলের পদচারণায় ধন্য এ ভূমিতে আত্মিক প্রশান্তি তালাশে আসেন পৃথিবীর বহু মানুষ। শুধু মুসলমানরাই নয়; বরং অন্যান্য আসমানী ধর্মাবলম্বীদের নিকটও শহরটি তাৎপর্যপূর্ণ। তারাও এটিকে তীর্থভূমি মনে করে এখানে ‘জেয়ারতে’ আসেন।
বাইজান্টাইন, সেলজুক এবং ওসমানিয়াদের আগে প্রাচীন একাধিক প্রভাবশালী সাম্রাজ্য শহরটি শাসন করেছে। তাদের সময়কারও বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনাবলী এখনো পাওয়া যায়। ওসমানিয়া পর্যটক ইভলিয়া সেলেবি শানলিউরফা সম্পর্কে তার গ্রন্থ ‘সিয়াহাত নামা’য় বলেন, ‘মহান আল্লাহ এই শহরটিকে ইবরাহিম আ:-এর বরকত দান করেছেন। জায়গাটি অত্যন্ত উর্বর, প্রচুর ফসলাদি জন্মে। অধিবাসীরাও ইবরাহিম আ:-এর মতো সুন্দর ও বেশ ধার্মিক।’
তথ্যসূত্র: তুর্কি প্রেস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা