কী হচ্ছে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে?
- মো: বজলুর রশীদ
- ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩২
বিশ্বের সেরা ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আরব বিশ্বের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে মরক্কোর ফেজে।
গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ওষুধ, নির্মাণকৌশল, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে আরবদের বিরাট অবদান থাকলেও এখন এই সূচক নিম্নদিকে। ২০১৭ সালে ক্ষুদ্র গ্রিসে যত বই প্রকাশিত হয়েছে সমগ্র আরব বিশ্ব মিলিয়ে তত বই প্রকাশিত হয়নি। এটি খুবই ভাবনার বিষয়। তবে মিসরের বিশেষজ্ঞ আল আজহার, জর্দান, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারে উন্নতমানের লেখাপড়া শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। তথাপি সামগ্রিকভাবে আরব বিশ্বে লেখাপড়ার মান সন্তোষজনক নয়।
ইউনেস্কোর তথ্যে প্রকাশ আরব বিশ্বে এখন বিভিন্নভাবে ১.৬ মিলিয়ন নতুন শিক্ষক দরকার। নতুবা অচিরেই সার্বজনীন শিক্ষা প্রদান দুরূহ হয়ে পড়বে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩.৩ মিলিয়নে উন্নীত হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষক গড়ে তোলা না গেলে মানসম্পন্ন লেখাপড়া মুখ থুবড়ে পড়বে।
আরব বিশ্বে ১১টি লড়াই-সঙ্ঘাত চলছে। এর ফলে শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। সেনা চেকপয়েন্ট অনেক সময় ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যেতে দিচ্ছে না। সিরিয়ার শিশুরা বর্ণমালা শিখেই লেখাপড়া শেষ করতে বাধ্য হচ্ছে। ইরাকেও একই অবস্থা। আরব বিশ্বের অনেক স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনসংখ্যা যৌবনে পৌঁছেও লেখাপড়া শেখার সুযোগ পায়নি। যারা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে, এটি তাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে মূর্খের সাগরে ভাসবে আরব বিশ্বের। আরব বিশ্ব জিডিপির ৫.৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার জন্য খরচ করে না। আরবি প্রবাদে আছে- মূর্খতা সবচেয়ে বড় দারিদ্র্য। তথাপি আরব বিশ্বে শিক্ষার জন্য কেউ তেমন মাথা ঘামাচ্ছে না।
ধনী ও মধ্য আয়ের আরব পরিবারের ৯-১০ বছরের শিশুদের ‘রিডিং স্কিলে’র এক জরিপে দেখা গেছে, তাদের দক্ষতা সর্ব নিম্নে। ক্লাসিক্যাল আরবি ও আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড আরবি ছোটদের মাথা গুলিয়ে দিচ্ছে। দক্ষতা অর্জনের জন্য এখানে কাজ করা দরকার এবং ইংরেজির ওপর আরো জোর দেয়া প্রয়োজন। আবার কোথাও, যেমন আফ্রিকার কিছু আরব দেশে, ফরাসি ভাষার ওপর জোর দেয়া হয়। এ ভাষায় বিশ্বে কথা বলে ১৩০ মিলিয়ন আর ইংরেজি অপব্যবহার করে দুই বিলিয়িন। আরব বিশ্বে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কোনো ‘সিলভার-বুলেট’ সমাধান নেই। পুরো ব্যবস্থাকে জরুরিভাবে ঢেলে সাজানো দরকার।
২০১৮ সালের সর্বশেষ রেটিংয়ে আরব বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে আরব আমিরাতের খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ জর্দান বিশ্ববিদ্যালয়। আগেই বলা হয়েছে, বিশ্বের ২০০টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলোর একটির নামও নেই। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড প্রথম এবং দ্বিতীয় ক্যামব্রিজ; তিন নম্বরে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
মিসরের বিশ্বব্যাপী ইসলামকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য আল আজহার এখন কাজ করছে। মিসরের ইসমাইলি শিয়া ফাতেমি বংশের শাসক আল আজহার মাদরাসা বানিয়েছিলেন। এ বংশে ফাতেমা রা:, আল্লাহর রাসূলের সা: কন্যা ও আলী রা:-এর স্ত্রী, ফাতেমা আজ জাহার (আলো, আলোর ছটা, আলোর বিকিরণ)-এর নামে ডাকা হতো। ফাতেমি খলিফারা সবসময় এখানে লেখাপড়া ও ধর্মীয় আলোচনা করাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। বলা হয়, আল আজহারকে এমন করে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে সমাজ গঠনে ইসলামের প্রভাব সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় এবং মানবাধিকার ও উদারতাবাদের চরিত্র সঠিকভাবে বোঝা যায়।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, আরবিতে ‘জামিয়াহ আল আজহার’ এখন সুন্নি ইসলামের সেরা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচ্য। ফাতেমি খিলাফতের সময় ৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে কুরআন ও ইসলামি আইন শিক্ষার জন্য এই শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বর্তমানে এখানে সেক্যুলার বিষয়াদিও কারিকুলামে সন্নিবেশিত। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, পাঠ্যসূচি সংশোধন করা প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ। আল আজহারকে ‘লিবারেলিজমের’ ধাঁচে ফেলার চেষ্ট চলেছে বিভিন্ন সময়। এ কারণেও শিক্ষার সার্বিক মান কমে গেছে বলে পশ্চিমা শিক্ষাবিদেরা মনে করেন। তবে ধর্মীয় শিক্ষাও এ অভিযোগ থেকে বাদ যায়নি।
ইসলামি স্কলার বা ওলামা আল আজহার থেকে ধর্মীয় মতামত বা ফতোয়া দিয়ে থাকেন। বিশ্বব্যাপী সুন্নি মুসলমানেরা এই মতামত গ্রহণ করে থাকেন। মিসরের সরকার কর্তৃক নিয়োজিত দায়ী ও ঈমামদের প্রশিক্ষণও আল আজহার দিয়ে থাকে, দাওয়াহ-এর কাজও করে। এসব কাজ করতে গিয়ে আল আজহারকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। যেমন সাবেক স্বৈরতন্ত্রী শাসক হোসনি মোবারক এই প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসী বানানোর কেন্দ্র বলেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পুস্তকও প্রকাশ করে থাকে। দুর্লভ পাণ্ডুলিপিগুলো অনলাইনে দেয়া হয়েছে যা এখন পর্যন্ত মোট সাত মিলিয়ন পাতা!
মিসরের আলোচিত প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের ১৯৬১ সালে আল আজহারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেছিলেন এবং অনেক সেক্যুলার বিষয়ও এর অন্তর্ভুক্ত হয়। যেমন- ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, ফার্মেসি, মেডিসিন, প্রকৌশল, কৃষি ইত্যাদি। মিসরের বাইরে গাজা এবং কাতারের দোহায় আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা রয়েছে। মিসরের গ্রান্ড মুফতি সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। মিসরের সীমানা ছাড়িয়েও তার মর্যাদা। বতর্মানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯টি ফ্যাকাল্টি রয়েছে, যা এক কথায় অনন্য। ছাত্র ৫৪ হাজার এবং শিক্ষক ও স্টাফ পাঁচ হাজারের বেশি। শুধু মহিলাদের জন্য এখানে আটটি অনুষদ রয়েছে। এটি এখন সুন্নি মুসলমান ও আরব বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র হলেও ভ্যাটিক্যানের মতো হতে পারেনি। কেননা এর কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। জামাল নাসের ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করেন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পোস্টিং দেন। তারপরও আল আজহারের জ্যোতি মলিন হয়নি।
এখানে শিক্ষকেরা বিশেষ বিষয়ের ওপর আবার অধ্যয়ন করার সুযোগ পেয়ে গবেষণায় নিয়োজিত হন। পুরনো পাণ্ডুলিপিগুলোকে সঠিকভাবে অনুবাদ করে উপস্থাপনা, সম্পাদনা ও গবেষণা করা হয়। এর ফসল যেন বিদেশী ভাবধারা দ্বারা দূষিত না হয় সেদিকে বেশি দৃষ্টি দেয়া হয়। ফলে এ অঞ্চলে ও আফ্রিকায় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তা ছাড়া মুসলিম ব্যক্তি ও গোষ্ঠীপর্যায়ে কোনো ফেতনার উদ্ভব হলে এখানকার মাশায়েখরা তা মতামত প্রদান করেন লেখনীর মাধ্যমে। যুক্তি ও তথ্যাবলি দিয়ে তারা প্রবন্ধ লিখেন ও ফতোয়া দেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে তা প্রচারিত হয়। ছাত্রদের শিক্ষা দেয়া হয় ‘ইনশা’ রচনা।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌদি আরব থেকে অনেকে লেখাপড়া করতে আসেন। মিসরীয়রা বলে থাকেন, ইসলাম ধর্মের কাবা মক্কায়, জ্ঞানের কাবা মিসরের আল আজহারে; মিসরে ঘোরাফেরা করলেই দেখা যাবে বিশেষ ডিজাইনের টুপিপরিহিত আলেমদের। তারা আল আজহারের গ্র্যাজুয়েট। ডক্টরেটদের রয়েছে অন্য ধরনের টুপি। মিসরের মসজিদে বা বাজারে গেলেই এমন আলেমদের দেখা পাওয়া যায়। মিসরীয় সমাজে এদের রয়েছে বিশেষ কদর।
ভাবতে অবাক লাগে, মিসরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোস্তফা মুসা নির্বাচনী ওয়াদা হিসেবে আল আজহার মতো একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার শপথ করেছিলেন। এ প্রতিষ্ঠানটি আরো বড় করার ‘ভিশন’ না দিয়ে তিনি এটিকে ধ্বংসের কথা বলেছেন, এহেন ঔদ্ধত্যে অবাক হওয়া স্বাভাবকি নয় কি? কেন ধ্বংস করবেন এবার কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি। মিসরের সমাজে সেক্যুলার ও নাস্তিকদের অভাব নেই। মনে হয়, এখনো মূসা আ:-এর অনুসারী ও ফেরাউনের অনুসারীরা পাল্লা দিয়ে কাজ করছে। আবার আল আজহার বিরোধী আলেমও অনেক।
মিসরের মসজিদগুলোতে আসর ও মাগরিব নামজের পর ক্বারীরা সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত শোনান। মুসল্লিরা তা শোনার জন্য বসে থাকেন। তারা মিসররের সেরা ক্বারী। তারা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এক মসজিদ থেকে আরেক মসজিদে অনুষ্ঠান করে থাকেন। কোনো কোনো সময় বড় বড় গবেষকেরা তাদের গবেষণালব্ধ তথ্য মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করেন। মিসর সফরের সময় এরকম অনুষ্ঠান আমার নিজের দেখার সুযোগ হয়েছে। মসজিদ আল হুসাইনে বক্তব্য শুনছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই বহু মহিলার আগমন। তারা মসজিদের দু’দিকে বসে পড়েন। অনেকেই, যারা ছাত্রী, খাতা-কলম নিয়ে নোট নিচ্ছিলেন। অনেক পুরুষও নোট নিচ্ছিলেন। বক্তা আল আজহারের একজন গবেষক। এক প্রান্ত থেকে টিভি ক্রুরা লাইভ প্রচার করছিলেন। খুবই উপভোগ্য মনে হয়েছিল পুরো বিষয়।
ভাষা আরবি; তাই বুঝতে পারিনি। একজনকে অনুরোধ করায় তিনি ইংরেজিতে মাঝে মধ্যে আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি ছিল হজরত হুসাইন আ:-এর কবর ইরাকে না মিসরে, এর ওপর গবেষণার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। আমরা যে মসজিদে বয়ান শুনছিলাম, সেই মসজিদেই হজরত হুসাইনের মাজার রয়েছে। বক্তা এ কারণে এই মসজিদকে ভেনু হিসেবে নিয়েছেন। কায়রোর মসজিদগুলো সবসময় রমরমা। এখানে শুধু নামাজ পড়ানো হয় না, সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন আলোচনা হয়, সব মসজিদের আওতাধীন এলাকায় জন্ম-মৃত্যু, বিয়ে, গরিবদের লেখাপড়া, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান মসজিদ কমিটি আঞ্জাম দেয়। বিত্তবানেরা মসজিদের বিভিন্ন ফান্ডে নিয়মিত টাকা দান করেন। সে তহবিল দিয়েই যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালানো হয়। সে তুলনায় আমাদের দেশের মসজিদগুলো অনেকটা মৃতপ্রায়।
মুসা মোস্তাফা মূসা পূর্বে উল্লিখিত সিসির বন্ধু ও সমর্থক। বর্তমান স্বৈরাশাসক আবদেল ফাত্তেহ মিসরের বড় বড় সমস্যা চিহ্নিত না করে তিনি কেন আজহারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন? দেখা যায়, বড় জনগোষ্ঠী কোনো প্রার্থীকে পছন্দ না করলে অন্য প্রার্থীকে ভোট দেয়। মিসরের ধর্মপ্রাণ বিশাল জনগোষ্ঠী ও ভোটারেরা যদি সরকারের বিরোধিতা করেন তবে একটা ভোটযুদ্ধ হবে। তাই মূসা আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছেন আল আজহার বন্ধ করে দেবেন। সিসির বিরোধী মুসলিস ব্রাদারহুড সমর্থকরা ভুলেও মুসাকে ভোট দেবেন না।
এদিকে সৌদিরা বহুদিন ধরে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আল আজহারে ঢুকে পড়েছেন। অনেক আজহারি শেখকে সৌদিরা নিজের করে নিয়েছেন। যেমন- ডক্টরেটদের এত অর্থ প্রদান করা হয়েছে যা তাদের ২০ বছরের বেতনের সমান। এসব সম্মানী এমনভাবে দেয়া হয়েছে যে, তা প্রত্যাখ্যান করার কারণ থাকে না। নব্বইয়ের দশকে প্রায় সব আজহারিই সম্মানী পেয়েছিলেন। কিং ফয়সল ও কিং ফাহাদ প্রাইজের মাধ্যমে কয়েকজনকে লাখ ডলার দেয়া হয়েছে। তখন তাদের প্রচারকার্যে ‘সৌদি আরব ও ইসলামি সমাধান’ নামে সিরিজ রচনা প্রকাশ করা হতে থাকে। ২০০০ সালে আল আজহার ইসলামের সেবার জন্য সৌদি তাদের থেকে কিং ফয়সল পুরস্কার পায়। দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর কারণে আল আজহারের শিক্ষার পরিবেশ অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পশ্চিমাদের অভিযোগ, আইএস বিষয়ে আল আজহারের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়নি। কেননা, আল আজহার এখনো আইএসকে অমুসলিম বা এ জাতীয় কোনো বিশেষণে ভূষিত করেনি। বিশ্ব মুসলিমের অনেক দেশের ধর্মীয় নেতা আইএসের কর্মকাণ্ডকে ‘ইসলাম বহির্ভূত’ বলে অভিমত দিয়েছেন।
আল আজহারের গ্রান্ড মুফতি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই পদে আসীন হতে হলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন দরকার, যেহেতু সে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়করণকৃত। এ জন্য মিসরে ‘দরবারি আলেমের’ সমারোহ ও বিচরণ বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। আল আজহারকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার চেষ্টা না করে তাকে হেয় করার মানসিকতা ত্যাগ করা উচিত এবং আরবসহ মুসলিম বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পৃথকভাবে রেটিংয়ের জন্য মুসলিম স্কলারদের ‘সূচক’ বের করা উচিত।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা