নয়া দিগন্তের দেড় যুগ পূর্তি উৎসব : সত্যের পথে অবিচল থাকার দৃঢ় প্রত্যয়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৫ অক্টোবর ২০২২, ২২:২৮
সত্যের পথে অবিচল থাকার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গতকাল সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে নয়া দিগন্তের দেড় যুগ পূর্তি উৎসব। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয় রাজধানীর মতিঝিলের নয়া দিগন্ত কার্যালয়। রংবেরঙের বেলুন আর ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়ে ওঠে নয়া দিগন্তের প্রতিটি অঙ্গন। সকাল ৯টা বাজতেই অতিথিরা একে একে নয়া দিগন্ত কার্যালয়ে আসতে থাকেন। ১১টা ৩০টা থেকে শুরু হয় দিনব্যাপী উৎসবের অনুষ্ঠানিকতা। কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা একে একে তাদের বক্তব্য রাখেন; শুভেচ্ছা জানান নয়া দিগন্তকে। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পত্রিকা কার্যালয়ে পাঠান। বক্তব্যটি পাঠ করেন নয়া দিগন্তের সহকারী সম্পাদক মুজতাহিদ ফারুকী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর।
বক্তব্য রাখেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, নয়া দিগন্তের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, সাবেক বিচারপতি সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ইকতেদার আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও দিনকালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা: মোজাহেরুল হক প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নয়া দিগন্তের পরিচালক আব্দুল মালেক চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সাদেক ভুঁইয়া, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, ডিএসসিসির কাউন্সিলর মীর হোসেন মীরু, নয়া দিগন্তের সিটি এডিটর আবু সালেহ আকন, চিফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম, এইচআর জিএম সাইফুল ইসলাম, মার্কেটিং জিএম আনোয়ারুল ইসলাম জয়, সুইস টেকের এমডি সাজ্জাদ হাসান মাহমুদ, ব্যারিস্টার শারমিন তাবাসসুম মাহমুদ প্রমুখ।
নয়া দিগন্ত নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক প্রতিষ্ঠান মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নয়া দিগন্ত সব বাধা অতিক্রম করে পথ চলছে। এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা। কারণ এ পত্রিকাটিতে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা ফুটে ওঠে। এজন্য মানুষ এটাকে ভালোবাসে। এখানে যারা কাজ করছেন তারা নিজেদের বিশ্বাসের প্রতি অত্যন্ত কমিটেড।
এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্ত পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।
আমরা একটি ভয়ঙ্কর সময় অতিক্রম করছি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কাছে আজকে বিস্ময় মনে হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা সরাসরি জড়িত ছিলাম। তখন কি আমরা যুদ্ধ করেছিলাম আমরা মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নেবো, তার ভোটের অধিকার কেড়ে নেবো, তার কথা বলার অধিকার কেড়ে নেবো, এই যে সাংবাদিক ভাইয়েরা সবাই বসে আছেন তাদের লেখার অধিকার কেড়ে নেবো এই জন্য?
তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, ১৯৭৫ সালের সেই অবস্থা আমাদের পার হতে হয়েছে, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ওই একাত্তরের চেতনাকে তারা বাস্তবায়িত করেছে, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে তারা স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত করেছে। আজকে আবার একইভাবে তারা এই স্বাধীনতার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধে কথা বলে তারা মানুষের অধিকারগুলোকে পুরোপুরিভাবে কেড়ে নিচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সময়টা আমাদের অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে, সাহসের সাথে অতিক্রম করতে হবে এবং আমাদের জয়লাভ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা, যে স্বপ্ন, যে আকাক্সক্ষা আমরা দেখিছিলাম, সেটাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আজকে প্রয়োজন- যারা আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দিচ্ছে, যারা আমাদের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিচ্ছে, এখানে একজন সাবেক বিচারপতি সাহেব বলেছেন, সংবিধান মেনে চলতে হবে। কোন সংবিধান? আমি জানতে চাই পরিষ্কার করে। যে সংবিধানে আমার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যে সংবিধানের মধ্যে কেটে ছেঁটে তিনটি অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে যে, এটা কোনো দিন পরিবর্তন করা যাবে না। যে সংবিধানে আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম যে, আমরা একটা স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব সেই সংবিধান অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। সেই সংবিধান অবশ্যই আমাদের মানুষের জন্য। আমরা যা চেয়েছিলাম তা করার জন্য এই সংবিধানে অবশ্যই কিছুটা পরিবর্তন আনতেই হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা