২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল - ছবি : সংগৃহীত

যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে।

রোববার সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ আতাউর রহমান।

ঈদের জামায়াত শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রথম জামাত ছাড়াও বায়তুল মোকাররমে ঈদের আরো চারটি জামাত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী (পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম)। মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল হাদী (সাবেক মুয়াজ্জিন, বায়তুল মোকাররম)।

সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় জামাত। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী (মুফাসসির, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)। মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ মো: শহিদ উল্লাহ।

ঈদের চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দীন কাশেম (পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম)। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো: জহিরুল ইসলাম (খাদেম, বায়তুল মোকাররম)।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় (১০টা ৪৫মিনিট) অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম)। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো: রুহুল আমিন (খাদেম, বায়তুল মোকাররম)।

বাকি চার জামাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন (ভাষা শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।

ঈদুল আজহার প্রধান জামাত রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ওই জামাতে নামাজ আদায় করবেন।

এদিন রাজধানীসহ সারাদেশে সকাল থেকে ঈদ জামাত শুরু হয়েছে।

করোনা মহামারীর কারণে গত কয়েকটি ঈদের আনন্দ ছিল ফিকে। মানুষ ঘরে বসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা আতঙ্কে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবার কোভিড পরিস্থিতি তুলনামূলক শিথিল থাকায় সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন মুসলমানরা।

ঈদ উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভু প্রেমের পরাকাষ্ঠা। আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে আ: কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম আ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই।

ঈদ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে করোনা মহামারিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, প্রতিবারের মতো এবারো ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে।’

করোনা নিয়েও সর্তকবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এ সময় সবাইকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে। পাশাপাশি আমি এই মহামারিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানির অনুরোধ জানাই।


আরো সংবাদ



premium cement