ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ কমলাপুরে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১২:৩৬
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাস, ট্রেন, লঞ্চঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে শুক্রবার ভোর রাত থেকেই ঘরে ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে কমলাপুর স্টেশনে।
শুক্রবার সকালে থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথেই কমলাপুরে চাপ বেড়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের। দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ভোর থেকেই যাত্রীরা আসতে শুরু করেছেন স্টেশনে। সকাল ৯টা পর্যন্ত নীলসাগর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের সবগুলো প্লাটফর্ম যাত্রীতে ঠাসা। তবে অতিরিক্ত গরমে প্লাটফর্মে বসে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে ট্রেন ছাড়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই এসে বসে আছেন যাত্রীরা। এদিকে যারা টিকিট পাননি তাদের দেয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ ৩৭টি আন্তনগর এবং দুটি ঈদ স্পেশালসহ মোট ৩৯টি আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে যাবে।
কবির হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনে কোনো সিট নেই। ফলে দীর্ঘ পথ ট্রেনে দাঁড়িয়ে যেতে ভোগান্তি হবে। উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যেতে এমনিতেই দেরি হবে। সব মিলিয়ে যাত্রার স্বস্তির নেই, ভোগান্তি হবে আশা করা যাচ্ছে। তবে সব কষ্ট সার্থক হবে যদি ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছতে পারি।’
রংপুর এক্সপ্রেসে যাত্রী কামাল মিয়া বলেন, গত দুই দিন নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়েনি জেনেও সাতসকালেই স্টেশনে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে ভয় লাগছে। বিমানবন্দর স্টেশন থেকেই ট্রেন ভরে কমলাপুরে যাত্রীরা আসায় ট্রেনে উঠতে পারবো কিনা সেই চিন্তা করছি।
এদিকে, লোকাল কমিউটার ট্রেনে নেই আগাম টিকেট ব্যবস্থা। অগ্রিম টিকিট না দেয়া হলেও যাওয়ার সাথেসাথেই টিকিট পাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে, এখানেও আসন সংখ্যার তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্ট্যান্ড টিকিট নিচ্ছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেন ছেড়ে দেয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীই হাতে পেয়ে যাচ্ছেন টিকিট।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কমলাপুর রেলের স্টেশনমাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন সময় মতো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ আরো বাড়ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা