২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈদুল আজহার মর্মবাণী

ঈদুল আজহার মর্মবাণী - ছবি : নয়া দিগন্ত

‘আজ আল্লার নামে জান কোরবানে ঈদের মত পূত বোধন
ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্য-গ্রহ’ শক্তির উদ্বোধন।’
(কাজী নজরুল ইসলাম, কোরবানী, অগ্নিবীণা)

ঈদ উৎসবে উৎসর্গের সব আয়োজন আপ্যায়নের মর্মবাণীই হলো সামাজিক সমতা সখ্য বৃদ্ধি এবং সম্পদ, সুযোগ ও সৌভাগ্যকে বণ্টন ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা, ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে যা নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। আত্মশুদ্ধির জন্য উৎসর্গ বা সংহার প্রকৃত প্রস্তাবে খোদাভীতি ও তার সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় হিসেবে জীবে প্রেম বা দয়া ও সেবার প্রেরণাপ্রদায়ক হিসেবে প্রতিভাত হয়। করোনাকালের এই সম্মোহিত সময়ে, বন্যাকবলিত বাংলাদেশে এবার ঈদুল আজহা যেভাবে পালিত হোক না কেন, তা নিয়ে যত পর্যালোচনা চলছে তার মধ্যে ’সত্য-গ্রহ’ শক্তির উদ্বোধনের প্রত্যাশা পরিব্যাপ্ত হচ্ছে।

ঈদুল আজহা উদযাপনে পশু উৎসর্গের মধ্যে রয়েছে বিশেষ আর্থসামাজিক তাৎপর্য। হজরত ইব্রাহিম আ: কর্তৃক পুত্র ইসমাইল আ:-কে আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার ইচ্ছা প্রকাশের মহান স্মৃতিকে স্মরণ করে ইতিহাসের ধারাবাহিতায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে নিজের পাশব প্রবৃত্তি, অসৎ উদ্দেশ্য ও হীনম্মন্যতাকেই কোরবানি করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই বিশেষ ঈদ উৎসবে নিজের চরিত্র ও কুপ্রবৃত্তিকে সংশোধন করার সুযোগ আসে। জীবজন্তু উৎসর্গ করাকে নিছক জীবের জীবন সংহার হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটি আত্মশুদ্ধি ও নিজের পাশব প্রবৃত্তিকে অবদমন প্রয়াস প্রচেষ্টারই প্রতীকী প্রকাশ। সামাজিক কল্যাণ সাধনে সংশোধিত মানব চরিত্র বলের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কোরবানির গোশত গরিব আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করার যে বিধান তার মধ্যে নিহিত রয়েছে সামাজিক সমতার মহান আদর্শ।

এ উৎসবকে ভারতীয় উপমহাদেশে বকরি ঈদ এবং ব্যবহারিক অর্থে কোরবানির ঈদও বলা হয়। বকরি ঈদ বলার কারণ এই ঈদে খাশি কোরবানি করা হয় আবার বাকারা বা গরু কোরবানির ঈদ হিসেবেও ভাবা হয়। আরবি পরিভাষায় এই ঈদকে বলা হয় ঈদুল আজহা বা আত্মত্যাগ বা উৎসর্গের উৎসব। সুতরাং ঈদুল আজহার তাৎপর্যগত বৈশিষ্ট্য বিচারে এই উৎসব পালনে গরু বা পালিত পশু খোদার সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ বা কোরবানি করা। আর এই কোরবানির আগে পবিত্র হজ পালনের প্রসঙ্গটিও স্বতঃসিদ্ধভাবে এ উৎসবের সাথে এসে সংযুক্ত হয়। ঈদুল আজহার এই উৎসব হজ পালন ও পশু কোরবানি সূত্রে সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যবাহী প্রভাব ও কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

হজ পালন ঈদুল আজহা উৎসবের একটি বিশেষ অংশ। পবিত্র হজ অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশের মুসলমানরা সমবেত হয় এক মহাসম্মিলনে। ভাষা ও বর্ণগত, দেশ ও আর্থিক অবস্থানগত সব ভেদাভেদ ভুলে সবার অভিন্ন মিলনক্ষেত্র কাবা শরিফে একই পোশাকে একই ভাষায় একই রীতি রেওয়াজের মাধ্যমে যে ঐকতান ধ্বনিত হয় তার চেয়ে বড় ধরনের কোনো সাম্য মৈত্রীর সম্মেলন বিশ্বের কোথায়ও অনুষ্ঠিত হয় না। হজ পালনের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন রঙ ও গোত্রের মানুষের মধ্যে এক অনির্বচনীয় সখ্য সংস্থাপিত হয়। বৃহত্তর সামাজিক কল্যাণের যা অনুপম আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।

ঈদুল আজহা উদযাপনে অর্থনীতিতে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ, শিল্প উপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটে। এ উৎসবে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ব্যাপক আর্থিক লেনদেনসহ বহুমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, যা গোটা অর্থনীতি তথা দেশজ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় শনাক্তযোগ্য প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

হজ পালন উপলক্ষে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিপুলসংখ্যক অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের মাধ্যমে বা দ্বারা প্রতি বছর গড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতো। হাজীদের যাতায়াতসহ সেখানকার ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রাতেই নির্বাহ হয় এর সাথে এই হজের ব্যবস্থাপনা ব্যয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাংলাদেশী টাকা ও বিদেশী মুদ্রা ব্যয়ের সংশ্লেষ থাকত, ব্যাংকিং সেক্টরে এ উপলক্ষে লেনদেন ও সেবা সূত্রে ব্যয় বাড়ত। গোটা সৌদি আরবের অর্থনীতি সেই প্রাচীন কাল থেকেই হজ মৌসুমের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বা ব্যবসা-বাণিজ্যকে ঘিরে বা অবলম্বন করে আবর্তিত হয়ে আসছিল। কিন্তু এবার করোনাকালে শুধু সৌদি নাগরিকদের অত্যন্ত সীমিত আকারে হজ পালনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাবক কার্যক্রম পরিচালিত হবে না।

ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি উপলক্ষে জাতীয় অর্থনীতিতে এক ব্যাপক আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। গত বছর ২০১৯ সালে ঈদুল আজহার অর্থনীতি ছিল পিআরআইয়ের তথ্যমতে, ৪৫ হাজার কোটি টাকা; সেবার ১ দশমিক ০৫ কোটি গবাদিপশু জবাই হয়েছিল, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মতে, গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল ২৮ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকার; বাকি ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা ছিল পরিবহন, পর্যটন ও বিভিন্ন পণ্যাদি বিক্রি থেকে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাব মতে, এবার ২০২০ সালে কোরবানির জন্য তৈরি প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ। করোনাকালীন গত কয়েক মাসে অবিক্রীত পশুর সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ লাখ, যা বাজারে আসার অপেক্ষায় আছে। তার সঙ্গে গত বছরের হাটে তোলা অবিক্রীত প্রায় ১০ শতাংশ। অর্থাৎ এমনিতেই এবার চাহিদার চেয়ে বাজারে সরবরাহ অনেক বেশি। গোশত বিক্রেতা সমিতির সূত্র মতে, করোনায় আয় কমে যাওয়ায় গবাদিপশুর চাহিদা প্রায় ৩০ শতাংশ কমবে বলে ধরে নেয়ার পরও পশুর চাহিদা হবে ৮০ লাখেরও বেশি। চাহিদা কমে যাওয়ায়, পশু বিপণন, কোরবানি ও গোশত বিতরণ তিন পর্যায়েই স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের আবশ্যকতাহেতু কোরবানির পর প্রায় সমপরিমাণ পশু অবিক্রীত থেকে যাবে।

এর ফলে খামারিসহ ক্ষুদ্র ব্যক্তি উদ্যোগে বিনিয়োগকৃত অর্থ উদ্ধার সীমিত হয়ে যাবে। এমন আপদকালীন পরিস্থিতিতে উদ্বৃত্ত পশুসম্পদকে বিকল্প কোনো ব্যবস্থাপনায় গোশত রফতানির পন্থা অনুসন্ধান উদ্যোগ গৃহীত হতে পারে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয় এমনকি গোশত ব্যবস্থাপনার যে উদ্যোগ গৃহীত হচ্ছে তা স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমাবে, তবে সে ব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে উঠতে সময় লাগবে। আশা করা যায় আগামী বছরের মধ্যে দেশে এ ধরনের পদ্ধতি প্রক্রিয়াকরণ পরিবেশ গড়ে উঠবে। অনলাইন ব্যবস্থাপনায় যাতে প্রতারণা ও অব্যবস্থাপনা অনুপ্রবেশ না করতে পারে সে দিকে সবাইকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ব্যবস্থাপনাটি টেকসই করণের স্বার্থে।

কোরবানিকৃত পশুর সরবরাহ ও কেনাবেচার শুমার ও পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় চাঁদা, টোল, বখশিশ, চোরাকারবার, ফড়িয়া, দালাল, হাশিল, পশুহাট ইজারা, চাদিয়া, বাঁশ খুঁটির ব্যবসা, পশুর খাবার, পশু কোরবানি ও কসাইয়ের খরচ এমনকি পশুর সাজগোজ বাবদও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতবদল হয়ে থাকে অর্থাৎ অর্থনীতিতে ফরমাল ইনফরমাল ওয়েতে আর্থিক লেনদেন বা মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায়।

কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিক্রয় ও ব্যবহার উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের ও প্রতিষ্ঠানের কর্মযোজনা সৃষ্টি হয়। আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ করে রফতানি বাণিজ্যে, পাদুকা শিল্পে পোশাক, হস্তশিল্পে অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই চামড়া সংগ্রহ সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকরণের সাথে এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ও ব্যবসায় জড়িত। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো প্রতি বছর প্রায় ৮০০ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১০০-১২০ কোটি টাকা বিশেষ ঋণ দিয়ে থাকে। চামড়া ব্যবসাকে উদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। পত্রিকান্তরে প্রতিবেদনে প্রকাশ প্রতিবেশী দেশ থেকে বাকিতে গরু সরবরাহ করা হতো কম দামে কাঁচা চামড়া পাচারের প্রত্যাশায়। সেই চামড়া প্রক্রিয়াকরণ করে বেশি দামে বিদেশে রফতানির মুনাফা অর্জন হতো তাদের। এবার এ খাতে সে সুযোগ বাংলাদেশকে কাজে লাগাতে হবে। দেশে নিজেদের চামড়া প্রক্রিয়াকরণ এবং উপযুক্ত মূল্যে তা রফতানির প্রণোদনা সৃষ্টি করেই এ পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি লাভ ঘটতে পারে। লবণ চামড়া সংরক্ষণের অন্যতম উপাদান। সরকারকে সাধারণত প্রায় ৪০ হাজার টন লবণ শুল্কমুক্ত আমদানির উদ্যোগ নিতে হয়, যাতে সিন্ডিকেট করে লবণের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি না হয়।

কোরবানির পশুর গোশত আমিষজাতীয় খাদ্যের উপাদান এবং এই গোশতের বিলি বণ্টন প্রক্রিয়ায় রয়েছে আর্থসামাজিক তাৎপর্য ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বছরের একটি সময়ে সবাই আমিষ প্রধান এই খাদ্যের সন্ধান ও সরবরাহ লাভ করে থাকে। গোশত রান্নার কাজে ব্যবহৃত মসলা বাবদ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে এ সময়ে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সব লেনদেনে দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য বাড়ত, তারল্য সঙ্কটে পড়ে যেত আর্থিক খাত, কলমানি মার্কেট থেকে চড়া সুদে ধারকর্জে নামত ব্যাংকগুলো। চামড়া ঋণ থেকে শুরু করে ঈদের বোনাস বাবদ বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যেত। এ সময়ে অবধারিতভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পায়। ঈদ উপলক্ষে পরিবহন ব্যবস্থায় বা ব্যবসায় ব্যাপক কর্মতৎপরতা বেড়ে যায়। শহরের মানুষ আপনজনের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামে ছোটে।

এক মাস আগে থেকে ট্রেন বাস লঞ্চের টিকিট বিক্রির তোড়জোড় দেখে বোঝা যায় এর প্রসার ও প্রকৃতি। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ দামে ফরমাল টিকিট আর ইনফরমাল টাউট দালাল ও বিবিধ উপায়ে টিকিট বিক্রির সার্বিক ব্যবস্থা বোঝা যায় এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় পরিবহন খাতে সাকল্যে দুই হাজার কোটি টাকার বাড়তি ব্যবসা বা লেনদেন হয়েছিল। এটিও অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। কিন্তু হায় এবার পরিস্থিতি ও পরিবেশ ভিন্ন হওয়ায় ঈদের অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান কমে যাবে। তবে করোনার কারণে যে বিধিনিষেধ তা পরিপালনে সবার স্বার্থেই সাশ্রয় ঘটবে অনেক বাড়াবাড়ি অপচয় অপব্যয়ের।

বিগত চার মাস করোনাভাইরাসে ব্যক্তি পরিবার সমাজ দেশ ও অর্থনীতি গৃহবন্দী, আতঙ্ক আশঙ্কার জীবনযাপনে মৃত্যুর মিছিল যখন তুঙ্গে তখন বন্যা বাংলাদেশে প্রলয়ঙ্করী রূপে অগ্রসরমান তখন এবারের ঈদুল আজহার উৎসব সত্যই ম্রিয়মাণ। এমন বিব্রতকর অবস্থায় ঈদ এর আগে কখনো আসেনি। করোনা ও বন্যায় এবারের ঈদুল আজহা তার চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য ও নিয়ামকের অর্থবহতা নিয়ে দীপান্বিত হোক এই প্রত্যাশা সবার।


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল