২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঘরমুখো মানুষকে আটকাতে পারছে না কোনো কিছুই

ঘরমুখো মানুষকে আটকাতে পারছে না কোনো কিছুই -

করোনা, কর্মস্থলে লিখিত-অলিখিত নিষেধাজ্ঞা; কোনো কিছুতেই থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না ঈদে ঘরমুখো মানুষকে। পথের নানা ঝক্কিঝামেলা এবং শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে মানুষগুলো ঘরে ফিরছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মানুষের এই ঘরে ফেরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেবে। এ দিকে, কোনো কোনো যানবহন নিয়মনীতি না মেনেই যাত্রী পরিবহন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আগামীকাল ১ আগস্ট উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ এলেই ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লেগে যায় রাস্তাঘাটে, টার্মিনালগুলোতে। সারা বছর মানুষ গ্রামে না গেলেও ঈদের ছুটিতে মানুষ নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে যায়। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনার কারণে ঈদুল ফিতরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মানুষ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ করতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন তারা কোথাও বের হননি।

এবারের ঈদে গণপরিবহন বন্ধ নেই। তবে যাত্রী বহনে নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মনীতি কেউই মানছে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যেমন মানছেন না; তেমনি যাত্রীরাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। একাধিক ব্যক্তি জানান, তাদের অফিস বা কর্মস্থল থেকে রাজধানী ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। রাজধানীর মালিবাগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন নিজামুল হক। তিনি জানান, তার অফিসে অনেকের বেতন আটকে রাখা হয়েছে যাতে কেউ বাড়ি যেতে না পারে। শেষ মুহূর্তে বেতন দেয়ার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু তারপরেও অনেকে বাড়ি চলে গেছেন।

এ দিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনালে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ধারণক্ষমতার অর্ধেক এবং এক সিট অন্তর অন্তর যাত্রী বহনের কথা থাকলেও; একই পরিবারের সদস্য এই কথা বলে প্রতিটি সিটেই যাত্রী বহন করা হচ্ছে। লঞ্চগুলোতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। লঞ্চের ডেকে পারলে একজন আরেকজনের উপরে চড়ে বসছে। টার্মিনালগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

অন্য দিকে, অনেকে গণপরিবহনে না গিয়ে বিকল্প উপায়েও গ্রামে যাচ্ছেন। সাইদুল ইসলাম নামের একজন জানান, গ্রামে যাওয়ার মজাই আলাদা। সেটি তিনি কিছুতেই দমাতে পারেননি। তাই প্রাইভেট কার ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। মোশাররফ নামের এক ব্যবসায়ী জানান, গত ঈদে বাড়ি যাননি। এবার তো আর পারছেন না না গিয়ে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় মানুষ কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় চলছে। এমনকি, মাস্ক পর্যন্ত নেই। শারীরিক দূরত্ব বলে কিছুই নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার হুমায়ুন কবির বলেন, মানুষের এই অবাধ চলাচল এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা সবাইকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। আর যারা বাড়ি যাচ্ছেন স্বজনের কাছে, তারা নিজেরা তো ঝুঁকির মধ্যে আছেনই; সাথে পরিবারের সদস্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
‘দিনে দাওয়াতি কাজ করতে হবে আর রাতে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে’ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রাণি ও পরিবেশের জন্য বড় হুমকি নতুন পর্যটন গন্তব্যের সন্ধান করছে সরকার : হাসান আরিফ বানারীপাড়ায় হত্যা ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার ২ রাবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ‘ট্রাম্পের সাথে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’ তাজিকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে : মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন আলাল টানা দুই ওভারে ২ উইকেট শিকার তাসকিনের ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন’

সকল