২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঘরমুখো মানুষকে আটকাতে পারছে না কোনো কিছুই

ঘরমুখো মানুষকে আটকাতে পারছে না কোনো কিছুই -

করোনা, কর্মস্থলে লিখিত-অলিখিত নিষেধাজ্ঞা; কোনো কিছুতেই থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না ঈদে ঘরমুখো মানুষকে। পথের নানা ঝক্কিঝামেলা এবং শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে মানুষগুলো ঘরে ফিরছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মানুষের এই ঘরে ফেরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেবে। এ দিকে, কোনো কোনো যানবহন নিয়মনীতি না মেনেই যাত্রী পরিবহন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আগামীকাল ১ আগস্ট উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ এলেই ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লেগে যায় রাস্তাঘাটে, টার্মিনালগুলোতে। সারা বছর মানুষ গ্রামে না গেলেও ঈদের ছুটিতে মানুষ নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে যায়। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনার কারণে ঈদুল ফিতরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মানুষ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ করতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন তারা কোথাও বের হননি।

এবারের ঈদে গণপরিবহন বন্ধ নেই। তবে যাত্রী বহনে নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মনীতি কেউই মানছে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যেমন মানছেন না; তেমনি যাত্রীরাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। একাধিক ব্যক্তি জানান, তাদের অফিস বা কর্মস্থল থেকে রাজধানী ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। রাজধানীর মালিবাগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন নিজামুল হক। তিনি জানান, তার অফিসে অনেকের বেতন আটকে রাখা হয়েছে যাতে কেউ বাড়ি যেতে না পারে। শেষ মুহূর্তে বেতন দেয়ার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু তারপরেও অনেকে বাড়ি চলে গেছেন।

এ দিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনালে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ধারণক্ষমতার অর্ধেক এবং এক সিট অন্তর অন্তর যাত্রী বহনের কথা থাকলেও; একই পরিবারের সদস্য এই কথা বলে প্রতিটি সিটেই যাত্রী বহন করা হচ্ছে। লঞ্চগুলোতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। লঞ্চের ডেকে পারলে একজন আরেকজনের উপরে চড়ে বসছে। টার্মিনালগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

অন্য দিকে, অনেকে গণপরিবহনে না গিয়ে বিকল্প উপায়েও গ্রামে যাচ্ছেন। সাইদুল ইসলাম নামের একজন জানান, গ্রামে যাওয়ার মজাই আলাদা। সেটি তিনি কিছুতেই দমাতে পারেননি। তাই প্রাইভেট কার ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। মোশাররফ নামের এক ব্যবসায়ী জানান, গত ঈদে বাড়ি যাননি। এবার তো আর পারছেন না না গিয়ে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় মানুষ কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় চলছে। এমনকি, মাস্ক পর্যন্ত নেই। শারীরিক দূরত্ব বলে কিছুই নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার হুমায়ুন কবির বলেন, মানুষের এই অবাধ চলাচল এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা সবাইকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। আর যারা বাড়ি যাচ্ছেন স্বজনের কাছে, তারা নিজেরা তো ঝুঁকির মধ্যে আছেনই; সাথে পরিবারের সদস্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল