২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মহান বিজয় দিবস আজ

মহান বিজয় দিবস আজ - ছবি : নয়া দিগন্ত

আজ ১৬ ডিসেম্বর। আমাদের মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে সেইসব শহীদদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। স্মরণ করবে সেইসব বীর সেনানীদের যারা শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যেসব নরনারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানানো হবে।

যথাযোগ্য মর্যদায় দিবসটি পালনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপনের সর্বাত্মক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটির দিন।

রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে, শোষণ-বঞ্চনার পাশপাশি রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। তিনি বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরীতা নয়’ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। তিনি এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ প্রহণের জন্য মিয়ানমারসহ জাতিসঙ্ঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদযাপিত হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি অনুষ্ঠানই বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক। দলমতনির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠান দুটির উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও সরকার বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। বাসস।

তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকার বিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, কাল ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি; উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমাদের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট দশমিক ১৩ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ২১ ভাগ। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯০৯ মার্কিন ডলারে, শিক্ষার হার ৭৩ দশমিক নয় শতাংশ। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক, রেল, নৌযোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিএনপির শুভেচ্ছা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়- আজকের এ দিনে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব নির্ভিক বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন মাতৃভূমি পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তি যোদ্ধারা বিজয়ী হয়। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতার সূর্য। আজকের এ মহান দিনে সেসব বীর সেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই।

বাণীতে বলা হয়- দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালের এদিনে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হই। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা আজো কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো বলে বিশ্বাস করি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আপসহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। এখন তাকে জামিন দিতে সরকার বাধা দিচ্ছে। তার মুক্তির জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিকল্প নেই। বিজয়ের এ দিনে আমি দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।

জাতীয় কর্মসূচি
মহান বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে আজ সোমবার ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন।

সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।

ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচি
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ’৭১ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শিখা চিরন্তন’ বেদি সংলগ্ন ‘স্বাধীনতা চত্বরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর আগে সকাল ৮টায় ফোরাম নেতৃবৃন্দ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

আওয়ামী লীগের দুই দিনক্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন এবং বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধরু কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হাজারো কণ্ঠে সোনার বাংলা
একসাগর রক্তে অর্জিত বাঙালির গৌরবময় বিজয় হাজারোও কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে উদযাপিত হবে। এছাড়া পরিবেশিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানান অনুষ্ঠান। বিকেলে হাজারো কণ্ঠে গাওয়া হবে জাতীয় সংগীত, আমার সোনার বাংলা। মহান বিজয় দিবস উদযাপনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ নামের এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে শহীদ মিনার, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর, রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ও মিরপুর ও দনিয়ায় মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নানান পরিবেশনা। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে থাকছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের মুম্বাই, আগরতলা ত্রিপুরা এবং কলকাতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে শিল্পকলা একাডেমির ৩টি সাংস্কৃতিক দল।

গ্রামীণফোন ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর তেজগাঁও’র চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় মেলা’। ‘গৌরবময় বিজয়ের ৪৮ বছর’ শিরোনামে বিজয় দিবসের কনসার্ট আয়োজন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের মাঠে দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে মঞ্চ মাতাবেন নগর বাউল জেমস। আরো গাইবেন মমতাজ বেগম, চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমি।


আরো সংবাদ



premium cement