সারা দেশে ঈদের উৎসব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ আগস্ট ২০১৮, ০৭:৫৬, আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৮, ১৪:২৬
আজ বুধবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। ত্যাগের মহিমায় চিরভাস্বর পবিত্র এই উৎসব পালনে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এই ঈদে পশু কোরবানিই প্রধান ইবাদত। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। আরবি ‘আজহা’ এবং ‘কোরবান’ উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উৎসর্গ। কোরবানি শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা ও অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া ইত্যাদি।
ইসলামের পরিভাষায় কোরবানি হলো- নির্দিষ্ট পশুকে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে নির্দিষ্ট সময়ে তারই নামে জবেহ করা। মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে জবাই করা পশুর গোশত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, কেবল নিয়ত ছাড়া। ঈদুল আজহার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে, মনের পশু অর্থাৎ কুপ্রবৃত্তিকে পরিত্যাগ করা।
আল্লাহর বান্দারা কে কতটুকু ত্যাগ ও খোদাভীতির পরিচয় দিতে প্রস্তুত এবং আল্লাহর নির্দেশ পালন করেন; তিনি তা-ই প্রত্যক্ষ করেন কেবল। প্রত্যেক আর্থিক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। হজরত ইব্রাহিম আ:-এর সুন্নাত অনুসরণ করেই বিশ্বের মুসলমানেরা ১০ জিলহজ কোরবানি দিয়ে থাকেন। হজরত ইব্রাহিম আ: স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির জন্য মহান আল্লাহর নির্দেশ পেয়েছিলেন। পরপর দু’বার তিনি পশু কোরবানি করেন। তৃতীয়বার একই নির্দেশ পেয়ে তিনি অনুধাবন করেন, শেষ বয়সে জন্ম নেয়া পুত্র ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় তার কেউ নেই। আল্লাহ পাক তাকেই কোরবানি করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। হজরত ইব্রাহিম আ: তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল আ:-কে আল্লাহর নির্দেশ জানালেন। শিশু ইসমাইল আ: নির্ভয়চিত্তে সম্মতি দিয়ে পিতাকে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পালন করতে বললেন। কোরবানি করতে উদ্যত হজরত ইব্রাহিম আ: পুত্রস্নেহে যেন হৃদয় দুর্বল না হয়ে পড়েন, সে জন্য তিনি চোখ বেঁধে নিয়ে পুত্রের গলায় ছুরি চালিয়েছিলেন। আল্লাহর অপার মহিমায় এ সময় হজরত ইসমাঈল আ:-এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম আ:- এর অনুপম ত্যাগের অনুসরণে হাজার হাজার বছর ধরে বিশ্বমুসলমানেরা কোরবানি করে আসছেন। তারই নিদর্শনস্বরূপ প্রতি বছর হজ পালনকারীরা কোরবানি দিয়ে থাকেন। একই সাথে দেশে দেশে মুসলমানেরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলেও পরের দু’দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি করার বিধান রয়েছে। সাধারণত উট, দুম্বা, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া এসব পশুই কোরবানি করার বিধান রয়েছে। এ দিকে ৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তালবিয়া পাঠ করা ওয়াজিব। তালবিয়া হলো, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা