১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী - ছবি : সংগৃহীত

বর্ষবরণের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরিচয়পত্র ছাড়া এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

একইসাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে ঘিরে (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে সমানে রেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী।

সভায় ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এছাড়াও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয়ে থাকে। এই দু’টি বড় উৎসবকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সকল নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রাখা। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোনৈা প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না।

অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। কোনো উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরিচয়পত্র ছাড়া এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া উৎসব দু’টি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে।

উৎসব দু’টি সুষ্ঠুভাবে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন ও পরামর্শ দেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানাশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ স্ত্রী-সন্তানসহ শামীম ওসমান ও নানকের নামে দুদকের মামলা ‘চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈদেশিক সম্পর্কে নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ’ গাজায় এ পর্যন্ত ২০৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরাইল বারিতে শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ তারিক সিদ্দিক, টিউলিপ ও পুতুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের জামিন নামঞ্জুর, ৮ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট ছোটবেলার বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল মাসিক ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে ঢাবি ছাত্রীরা সোনারগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

সকল