গত ১৫ বছর আমার কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছিল : শিল্পী মনির খান
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৮
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান অভিযোগ অভিযোগ করেছেন, তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গত ১৫ বছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো গান গাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে তার কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছিল।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে বাংলাদেশে বন্যার্তদের সহযোগিতায় ‘মনির খান সন্ধ্যা’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে গান করেন।
মনির খান বলেন, ‘আমি ১৫ বছর আমি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে গান গাওয়ার কোনো সুযোগ পাইনি। বেসরকারি কিছু চ্যানেল আমাকে ডেকেছে, তাও আবার সেটা অহরহ তা নয়। তাদের মধ্যে হয়তো কারো ফোন গেছে আমাকে কেন ডাকা হচ্ছে না। তারা হয়তো ভালোবেসেই হোক কিংবা আমার শ্রোতাদের অনুরোধেই হোক তারা দুয়েকটি অনুষ্ঠান আমাকে দিয়ে করিয়েছে। কিন্তু সরকারি কোনো জাতীয় প্রতিষ্ঠান- যেমন, বিটিভি, রেডিও স্টেশন, শিল্পকলা একাডেমি তে আমাকে ডাকা হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তিন বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসার ফল এবং জুড়ি বোর্ডের মাধ্যমে। আমি কিন্তু শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবেই তিন বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই সব জায়গায়, সব অনুষ্ঠানে আমার একটা কার্ড বা একটা দাওয়াত পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছি শুধু ভিন্ন মতের (বিএনপির) ছিলাম বলে। এই মতের কারণেই গত ১৫ বছর আমার কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে। আমার সংগীতের পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। একটা ওয়াল বা দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছিল, যেখান থেকে নিরবে নিজে নিজে যুদ্ধ করেছি।’
‘যে সমস্ত মানুষ আমাকে ভালোবাসে এই গানের সূত্র ধরে যারা গানের সুর পোষে রেখে একজন মনির খান তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন তাদের ভালোবাসাতেই আজকে ভালো আছি, সুস্থ আছি,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের আয়োজনে বাংলাদেশে বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে গর্ব অনুভব করছি এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মো: আসাদুজ্জামান মাসুম ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান, দাতু মো: সেলিম, মো: কাউসার হোসেন, কমিউনিটির নেতা মো: জসিম উদ্দিন, ব্যবসায়ী মো: রমজান আলী, ব্যবসায়ী মো: শরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মো: রাসেল রানা, ব্যবসায়ী মো: রিপন মিয়া, মো: রমজান মিয়া, নূরে সিদ্দিকী সমন, মো: বিল্লাল মিয়া ও সোহাগসহ শতাধিক প্রবাসী।
মনির খানের সংগীত সন্ধ্যার বাদ্যযন্ত্রে ছিল বঙ্গভয়েস ব্যান্ডদল।