মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশী নিয়োগকর্তাকে ৭ দিনের রিমান্ড
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১১
মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি স্পেশাল কাউন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশী শ্রমিকদের একটি দলকে গ্রহণ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ঘুষ দেয়ার দায়ে বাংলাদেশী কোম্পানির মালিককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। গ্রেফতারের পর এই নিয়োগকর্তাকে এক সপ্তাহের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
দেশটির একাধিক সংবাদ মাধ্যম প্রচারিত প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে কুয়ালালামপুর থেকে ওই বাংলাদেশী মালিককে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি), তবে কমিশন এখনো ওই বাংলাদেশীর নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) একটি আবেদন করার পর ম্যাজিস্ট্রেট ইরজা জুলাইখা রোহানউদ্দিন আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডের আদেশ জারি করেন।
‘সন্দেহজনক এই ব্যক্তি সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকটি এজেন্ট এবং একটি এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির একাধিক কর্মকর্তাকে ২০০ মালয় রিংগিত থেকে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার মালয় রিংগিত পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মালয়শিয়া প্রবেশের জন্য বাংলাদেশী একটি শ্রমিক গ্রুপকে ইমিগ্রেশনে যথাযথ চেক না করেই মালয়েশিয়ার বিমান ফটক দিয়ে যাওয়ার সুবিধা করে দেয়ার জন্য এ অনৈতিক লেনদেন করা হয়েছে৷
ইমিগ্রেশনে ঘুষ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা পেতে ওই বাংলাদেশী মালিক এ কাণ্ড করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে এমএসিসি। এভাবে ঘুষ দেয়ার মানে হলো, সুরক্ষা, বিষয়গুলি সহজতর করা ও শর্ত পূরণ না করা এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৬/৬৩ এর ধারা-১৫৫-এর অধীনে বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ না করা বিদেশীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া।
মালয়েশিয়া দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) ইন্টেলিজেন্স ডিভিশনের পরিচালক দাতুক জয়নুল দারুসের সাথে সাংবাদিকেরা যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশী নিয়োগকর্তা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি বর্তমানে দেশের প্রচলিত আইন-২০০৯ এর ১৬ (ক) ও (খ) ধারায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।