২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতির দায়ে ৫ বাংলাদেশী গ্রেফতার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি সিন্ডিকেট পরিচালনার দায়ে ৫ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। বুধবার (২৮ আগষ্ট) সেলাঙ্গর রাজ্যের পেতালিং জায়ায় বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতার বাংলাদেশীদের নাম প্রকাশ করেনি ইমিগ্রেশন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে গোয়েন্দা ও বিশেষ অপারেশন বিভাগ ইমিগ্রেশন সদর দফতর পুত্রজায়া থেকে কর্মকর্তা ও সদস্যদের একটি দল নিয়ে অভিযান শুরু হয়। দুই সপ্তাহ ধরে করা জনসাধারণের তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী ২৩ বছর বয়সী এক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে ইমিগ্রেশন টিম একটি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ২১ থেকে ৩৪ বছর বয়সী আরো চার বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরিচালক বলেন, প্রাথমিক পর্যালোচনার ফলাফলে আরো দেখা গেছে যে মূল মাস্টারমাইন্ড অতিরিক্ত অবস্থান করেছে। অন্য চারজনের কাছে কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছিল না।

অভিযানে ২৬টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট, দুটি ইন্দোনেশিয়ার পাসপোর্ট, একটি মিয়ানমারের পাসপোর্ট, একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার এবং অনলাইন পেমেন্টের রসিদ জব্দ করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের মোডাস অপারেন্ডি হলো বিদেশীদের যাদের কাছে পাসপোর্ট নেই তাদের সেবা প্রদান করা।

রুসলিন বলেছেন, সিন্ডিকেট তাদের পরিষেবার প্রচারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে। গত চার মাস ধরে এই কাজ করে আসছে। প্রতিটি পরিষেবার জন্য ৫০০ রিঙ্গিত ফির মাধ্যমে কুরিয়ার বা হ্যান্ড-ডেলিভারি পরিষেবা ব্যবহার করে সেবা দিয়ে আসছিল।

পরিচালক বলেন, মূল মাস্টারমাইন্ড ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ১৫(৪), পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর ১২(১)(এ) ধারা এবং ১২(১)(এফ) ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছে। একই আইনের অন্য চারজন অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(৩) এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর ধারা ১২(১)(এ) অনুযায়ী অপরাধী। আরো তদন্তে গ্রেফতারদের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন এবং অ্যান্টি স্মাগলিং-এর অধীনে যেকোনো অপরাধীদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন বিভাগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন পরিচালক রুসলিন জুসোহ।


আরো সংবাদ



premium cement