২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতবিরোধী পোস্টে লাইক দেয়ায় ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে

শিলচরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি - সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্টে লাইক দেয়ায় দেশে পাঠিয়ে দেয়া হলো বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থীকে। এমন অভিযোগ উঠেছে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন ওই ছাত্রী।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাছাড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) নুমাল মাহাত্তা জানান, এক ছাত্রীকে সোমবার সকালে করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ছাত্রীটি বাংলাদেশে চলে যান।

তবে এনআইটি কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ছাত্রী নিজের ইচ্ছাতেই কিছুদিনের জন্য বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। রোববার ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্রী যথাযথ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। সেইমতো তিনি বাড়ি যান।

তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন এনআইটির রেজিস্ট্রার। এছাড়াও ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়নি বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, পুলিশ সুপার জানান, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী শিলচর এনআইটির বিভিন্ন শাখায় পড়াশোনা করছে।
জানা গেছে, ভারতবিরোধী পোস্ট করেছিলেন বাংলাদেশের এক সাবেক ছাত্র। সেও আগে ওই প্রতিষ্ঠানে পড়তেন। সেই পোস্টেই সমর্থন করেছিলেন এই শিক্ষার্থী।

এসপি বলেন, ‘আমরা ছাত্রের ভারতবিরোধী পোস্টের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে কথা বলতে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’

গত ২২ আগস্ট আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শুভাশিস চৌধুরী প্রথম এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি ছাত্রের পোস্টগুলোর কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। পরে শিলচর এবং আসামের অন্যান্য অঞ্চলে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তারপরই পুলিশ সুপার ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন এবং তদন্ত শুরু হয়। পরে তিনি জানতে পারেন ওই ছাত্র ইতোমধ্যেই ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে রয়েছেন।

শিলচর এনআইটির ডিরেক্টর প্রফেসর দিলীপ কুমার বৈদ্য বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। তারা প্রতিষ্ঠানে শান্তি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসে। তারা যেন অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে থাকে তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’

তিনি জানান, তদন্তে এনআইটি কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সহযোগিতা করবে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement