মালয়েশিয়ায় মানবপাচার : ১২ বাংলাদেশীসহ আটক ৩৩
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ১৮ জুন ২০২৪, ১২:৩১
মালয়েশিয়ায় মানবপাচার সিন্ডিকেটের স্থানীয় দুই নাগরিকসহ ৩৩ জনকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকদের মধ্যে রয়েছে ১২ জন বাংলাদেশী।
শনিবার (১৫ জুন) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ জুন কেলান্তানের কুবাং কেরিয়ান এবং লেম্বা সিরেহ কোটা ভারুতে একটি বিশেষ অভিযানে মোটরসাইকেল বা ‘রাইডার’ গ্যাং ব্যবহার করে অবৈধ পথে অভিবাসী মানবপাচার সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটক করা হয়।
বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে দু’জন স্থানীয় পুরুষ এবং ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। আটক বিদেশী ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ১১ জন থাই, সাতজন মিয়ানমারের, ১২ জন বাংলাদেশী, দুজন ভারতীয় এবং একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
অভিবাসন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কেলান্টান স্টেট ইমিগ্রেশন বর্ডার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাথে হেডকোয়াটার্সের ইন্টেলিজেন্স এবং স্পেশাল অপারেশন বিভাগের স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল টিমের (পাসটাক) ১৯ সদস্যর অপারেশন টিম সীমান্তে একটি অবৈধ ঘাঁটি দিয়ে পাচারকারীরা অভিবাসীদের দেশে প্রবেশ করার সময় তাদের আটক করা হয়।
এ সময় অপারেশন টিম একটি ট্রানজিট হাউসে অভিযান চালিয়ে চার বাংলাদেশীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও একজন থাই নারী এবং দুই ভারতীয় পুরুষ- যারা একটি ট্রান্সপোর্টার গাড়িতে পালানোর সময় তাদের আটক করা হয়েছে।
অপারেশন টিম একটি মোটরসাইকেল পরিবহনকারীর গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পেতে সক্ষম হয়। যারা অবৈধ অভিবাসীকে লেম্বা সিরেহ এক্সপ্রেস বাস টার্মিনালে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছিল।
রাসলিন জানান, অপারেশন টিম টার্গেট লোকেশনে ছুটে যায় এবং দুই স্থানীয় লোককে আটক করতে সক্ষম হয়, যাদের প্রত্যেকে একজন মিয়ানমারের লোক বহন করে।
এ সময় একজন মোটরসাইকেলচালকের পালানোর চেষ্টা সফলভাবে অপারেটররা প্রতিরোধ করে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য উভয় মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, তারপরে টার্মিনালের চারপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন পুরুষ এবং সাতজন নারীসহ মোট ২৪ জন বিদেশীকে আটক করা হয়। যা তাদের পাচারকারিরা নির্ধারিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। অভিবাসীদের ট্রানজিট হাউস থেকে এক্সপ্রেস বাস টার্মিনালে নিয়ে যেতে সিন্ডিকেট মোটরসাইকেলচালকদের নিয়োগের মাধ্যমে তার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। মানবপাচারকারিরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অভিবাসীদের কাছ থেকে দুই থেকে তিন হাজার রিঙ্গিত নিতো।
রুসলিন বলেন,অভিবাসন মানবপাচার ও চোরাচালান কার্যক্রম রোধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ অব্যাহত রাখবে, যা প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে।