মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী নারীকে অপহরণ, গ্রেফতার ২
- মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
- ১৫ জুন ২০২৪, ১১:০১
মালয়েশিয়া এক বাংলাদেশী নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে একটি অপহরণকারী চক্র। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের স্বামী ও স্ত্রী দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এ সময় অপহৃত বাংলাদেশী নারীকেও পুলিশ উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতানের পিঠাঘরে ভুক্তভোগীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাংলাদেশী প্রবাসী দম্পতি মো: শিহাব এবং তার স্ত্রী নুপুর সুলতানা। বর্তমানে তারা দু’জন রিমান্ডে রয়েছে। এ ঘটনায় টিকটকার মো: হৃদয় নামে আরেক সহযোগী পলাতক রয়েছে। এ সময় অপহরণকারী উম্মে রাইজাকে উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ।
ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার কাজিন উম্মে রাইজাকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া এনে অপহরণকারী চক্র তাকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে থেকে এক অজ্ঞত স্থানে নিয়ে যায়। অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মো: শিহাব মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বাংলাদেশ কমিউনিটির এক নেতার মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। তখন শিহাব আরো ৪ লাখ টাকা দাবি করে। উক্ত টাকা না দিলে উম্মে রাইজাকে অনত্র বিক্রি করে দিবে বলে হুমকি দেয়। এই সময় অপহৃত বাংলাদেশী নারী উম্মে রাইজাকে চার দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় শিহাব ও তার সহযোগীরা। অপহরনকারীরা এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি। মুক্তিপণ না দিলে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণের ৫ বছরের শিশুকে নিয়ে বিক্রি করে দিবে বলেও হুমকি দেয় তারা। পরে কুয়ালালামপুরের ডাংওয়াঙ্গি থানায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা মামলা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিহাব ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।’
এ দিকে, টিকটকার হৃদয় পলাতক অবস্থায় ভুক্তভোগীকে আবারো হুমকি দিতে থাকে। ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতা বোধ করায় ডাংওয়াঙ্গি থানায় জিডিসহ কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ আরো বলেন, ‘আমি আমার জীবন ও বাচ্চার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমি এই ব্যাপারে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া কর্মরত বাংলাদেশী ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি