মাদরাসা শিক্ষার্থী থেকে মালয়েশিয়ার নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি বশির ইবনে জাফর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ মে ২০২৪, ১৩:১৬
মা-বাবার স্বপ্ন ছিল তাকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ-আলেম বানাবেন। দীর্ঘদিন কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করে তিনি মা-বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। তবে এটুকু শিক্ষায় তিনি নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। তার স্বপ্ন ছিল আরো বড় হওয়ার। তিনি তো দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও নিজের মেধা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে চান। চান দেশের লাল-সবুজের পতাকাকে আরো সমুন্নত ও সম্মানিত করতে। যার প্রমাণ-মালয়েশিয়ার নামি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রথম বছরই তিনি ভিপি নির্বাচিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।
এছাড়াও মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক কাজ, ওই দেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের গাইডলাইন প্রদান, পার্ট টাইম জবের ব্যবস্থা করে দেয়াসহ নানা কাজের কারণেই তিনি প্রশংসিত হচ্ছেন। গুণি এই ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন আমাদের টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা প্রতিনিধি তরুণ আলেম সাংবাদিক মুহাম্মদুল্লাহ।
গুণি এ ব্যক্তির নাম বশির ইবনে জাফর। তিনি কিশোরগঞ্জের প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা জাফর আহমদ কাসেমির বড় ছেলে। বশির শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে মেধার প্রমাণ রেখেছেন। তিনি রাজধানীর দনিয়া কলেজ থেকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।
যেভাবে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান
বশির ইবনে জাফর নিজের জেদ এবং দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমেই মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তিনি যখন মাদরাসা থেকে জেনারেল পড়াশোনায় আসেন তখন তার অনেক নিকটাত্মীয় বলাবলি করছিল, বশির ভালো কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারবে না। কিন্তু তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার মাত্র ২ মাসের মাথায় উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ লাভ করেন। উন্নত বিশ্বে সাধারণত ব্যাচেলরে তিন বছর সময় লাগে। তিনি ব্যাচেলর করেন মালয়েশিয়া মাহসা ইউনিভার্সিটি থেকে ইনফরমেশন টেকনোলজিতে এবং পরে মাস্টার্সের জন্য ইউনিভার্সিটি পূত্রা মালয়েশিয়ায় অ্যাডমিশন নেন কম্পিউটার সায়েন্সে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তার যত অর্জন
২০১৯ সালে বশির ইবনে জাফরের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনা হয়। তখন মালয়েশিয়ায় তার কাছে সবকিছুই নতুন এবং প্রথম অভিজ্ঞতা।
বশির জানান, ‘প্রথম অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে জানিয়ে দেয়া হয় মালয়েশিয়ায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল আছে। যারা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটের সময় সরকারি কর্তৃপক্ষ এসে সার্বিক রিপোর্ট ও খোঁজ-খবর নেয় এই রিপ্রেজেনটেটিভদের থেকেই। তখন থেকেই বশিরের আগ্রহ তৈরি হয় এই টিমে যুক্ত হওয়ার। আর সে লক্ষ্যেই তিনি বছরব্যাপী তার পরিচিতি বাড়ানোর কাজে মনোযোগ দেন। সব ফ্যাকাল্টির বিভিন্ন অ্যাক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসগুলোতে সক্রিয় হন। পাশাপাশি ভালো অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট এবং ক্লাসের অ্যাটেন্ডেন্সও মেইনটেইন করেন। কারণ ওই জায়গায় নেতৃত্ব দিতে হলে ভালো রেজাল্ট ও অ্যাটেন্ডেন্স ভালো হতে হয়। বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
তিনি জানান, ‘প্রথমত আমার ফ্যাকাল্টিতে নমিনেশনের ইন্টারভিউয়ে ডাক পাই। সেখানে আমার যাবতীয় রেকর্ড যাচাই-বাছাই শেষে অন্য ক্যান্ডিডেটদের বিবেচনায় আমাকে যোগ্য মনে হওয়ায় তারা আমার ভিপি পদের আবেদনটি গ্রহণ করে নমিনেশন দেয়। প্রথম ধাপটি পাড় হওয়ার পর শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারণা। আমি ধর্মীয় রীতিনীতি বেশি চর্চা করি বিধায় একটা বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলাম। আমার ড্রেসাআপের কারণে সবাই আমাকে এক নামেই চিনত। নিজের ফ্যাকাল্টির বাইরেও শিক্ষার্থীরা আমাকে জানত। যদিও অন্য ফ্যাকাল্টির নিজস্ব ক্যান্ডিডেটদের হারিয়ে পুরো টিমের ভিপি হওয়াটা তখন কঠিন ছিল। তবুও আমি জোর প্রচারণা চালিয়ে যাই। দিনব্যাপী অনলাইন ভোটিং শেষে দু’দিন পর রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়। ওই দু’দিন আমার খুব উৎকণ্ঠায় কাটে। কী হবে তা ভেবেই যেন রাতের ঘুম চলে যেত। নির্দিষ্ট দিনে যখন ফলাফল ঘোষণা হলো, তখন আমার নাম ভিপি তালিকায় নির্বাচিত দেখতে পেলাম। ফলাফল পাওয়ার পর প্রথমে মা-বাবাকে জানাই। অতঃপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে বিজয়ী হওয়ার খবরটি লিখি। পরে আধা ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় সব সংবাদমাধ্যমে আমাকে নিয়ে নিউজ হয়।’
তিনি আরো জানান, ‘যারা আমার সাপোর্টার ও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজয়ী হয়ে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে আমি আমার দায়িত্বভার গ্রহণ করি। আমার সেশন অর্থাৎ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল শিক্ষার্থীরা অনলাইনের সাহায্যে কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারত। প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান দেয়া হতো। এটিই আমার সময়কার একটি কার্যকরী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল।’
দ্বিতীয়বার ভিপি নির্বাচিত হওয়ার গল্প
বশির বলেন, ‘প্রথমবারের সুযোগকে যথাযথ কাজে লাগাতে পারায় দ্বিতীয়বার আবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। তবে এবার একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পুরো প্যানেলভিত্তিক অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই। কারণ বিগত সেশনে কোথাও কোথাও মনে হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে আমার সম্পূর্ণ সাপোর্টটা আমি দিতে পারিনি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে যেন যথাযথ সাপোর্ট পাই, তাই এবার প্যানেলসহ দাঁড়াই। নয় সদস্যের প্যানেলের মধ্যে আমার পাঁচজন ক্যান্ডিডেট নির্বাচিত হয়েছিল। যাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তবে এই সেশনে করোনা মহামারি চলে আসায় ক্যাম্পাসভিত্তিক তেমন কোনো কাজ ছিল না। তবুও ভ্যাকসিনেশনে সহযোগিতা, হোস্টেলে অবস্থানরতদের খাদ্য জোগানোয় সহযোগিতা ও সর্বোপরি করোনার কারণে ক্যাম্পাস ফ্যাসিলিটিস ফি কমানোয় পিটিশন গড়ে তোলায় আমার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়া
বশির বলেন, ‘আমি সর্বদাই চেয়েছি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা যেন অনেক কর্মমুখর কাটে। আমাদের আইটি ক্লাব ছিল না। আমিই প্রথম এটি প্রতিষ্ঠা করি। ক্যাম্পাসভিত্তিক বিভিন্ন কোডিং কম্পিটিশন, গেইমিং টুর্নামেন্টসহ অনেক আইটি রিলেটেড কাজ হয় আমাদের এই আইটি ক্লাবের তত্ত্বাবধানে। বর্তমানে এই আইটি ক্লাবকে অনেক সুনামের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জুনিয়ররা।’
সমাবর্তনে সেরা শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড জয়
বশির বলেন, ‘আমার অ্যাকাডেমিক জীবনের সেরা অর্জন এই অ্যাওয়ার্ড। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু নেতৃত্ব ও সোশ্যাল ওয়ার্ক করেই যে কাটিয়ে দিয়েছি তা কিন্তু নয়। বরং পড়াশোনা, অ্যাক্সট্রাকারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসে সক্রিয় থাকা ও আগামীর সম্ভাবনাময় তারুণ্য বিবেচনায় আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তনে সেরা শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে আমি এই ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড জিতি। আমি তখন বাংলাদেশে ছিলাম। একজন প্রফেসর আমাকে অ্যাওয়ার্ড মনোনীত হওয়ার খবরটি ফোন করে জানান এবং আমি সমাবর্তনে অংশ নিতে পারব কি-না কনফার্ম করতে চান। এমন সুযোগ কে হাতছাড়া করে! আমি হ্যাঁ বলে দেয়ার পর তিনি আমার জন্য এবং পরিবারের আরো দু‘জন সদস্যের জন্য ইনভাইটেশন লেটার পাঠিয়ে দেন। সমাবর্তনের আগের দিন রিহার্সাল সেশনে অংশ নেই। আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধু আমার স্ত্রী ছিল আমার সাথে। সমাবর্তনের দিনটি ছিল অনেক বেশি স্মৃতিময়। আমার প্রিয় শিক্ষিকা যিনি অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছিলেন, তিনিও এলেন তার পরিবারসহ আমাকে অভিনন্দন জানাতে। তবে আফসোস একটা রয়েই গিয়েছিল, মা-বাবাকে সাথে পাইনি। নিজের দেশ হলে হয়তো এই আফসোস থাকত না।’
বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক কার্যক্রম
ইউনিভার্সিটি কার্যক্রমের বাইরেও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের একটি অন্যতম বৃহৎ সংগঠনে জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন বশির। সংগঠনটিতে দায়িত্ব পালনের সময় ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও দেশীয় কালচারাল মেগা ইভেন্ট সফলভাবে বাস্তবায়ন করেন তিনি। এতে মালয়েশিয়ার প্রায় সব ইউনিভার্সিটি থেকেই শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় তাদের সংগঠন সব প্রবাসীর খাদ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের গুরুদায়িত্ব পালন করে অনেক প্রশংসা পেয়েছিল।’
কী কী সংগঠন, কাদের নিয়ে, কীভাবে গড়ে তোলেন
বশির জানান, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের সংগঠনে সক্রিয় থাকার পর এবার আরেকটু বড় পরিসরে শিক্ষার্থী ও তরুণদের জন্য আমি নিজেই প্রতিষ্ঠা করি ‘বাংলাদেশী ইয়ুথ অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়া’ (বিয়াম) নামের একটি সংগঠন। যেটি গত রমজানে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে এবং কমিটি মেম্বার রয়েছে ৪০ জনেরও অধিক। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দ্রুতই সব ইউনিভার্সিটি থেকে বাংলাদেশী তরুণদের এই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় পড়তে আসা তরুণদের জন্য আমাদের বিয়াম একটি আস্থার নাম। সংগঠনটি বর্তমানে তরুণদের বহুমাত্রিক যোগ্যতা ও দক্ষতার বিকাশে বিভিন্ন ট্রেইনিং, ক্রীড়াচর্চা, ধর্মীয় ও কালচারাল ইভেন্টগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে করে আসছে।
কর্মজীবনের সূচনা
যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিসের মাধ্যমে বশিরের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে তখন থেকেই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তিনি জবের অফার পেতে থাকেন।
বশির জানান, ‘মালয়েশিয়ায় বিদেশীদের জব এত দ্রুত পাওয়া সহজ ব্যাপার ছিল না, তবুও আমার জন্য সহজ হয়েছিল আমার বিগত দিনের পরিচিতির ফলে। বিশেষ করে সমাবর্তনে বিভিন্ন কোম্পানির সিইও কিংবা এইচআর প্রতিনিধিরা থাকেন। যারা বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের জবের জন্য ইনভাইট করেন। আমি বর্তমানে যেই জবে কর্মরত রয়েছি মেট্রো প্রিমিয়াম গ্রুপের ডিরেক্টর স্যার সপরিবারে সেই সমাবর্তনে ছিলেন। যদিও আমাকে তারা সমাবর্তনের আগে থেকেই জবের অফার দিয়ে রেখেছিলেন। একদিন তাদের সাথে মিটিং করে জবটি অ্যাক্সেপ্ট করে নেই। তারপর থেকে এখানেই আছি। মাঝে দু‘বার প্রমোশনও হয়েছে। এখানকার জবগুলো খুবই উপভোগ্য। যোগ্যতাভিত্তিক চলার জন্য গাড়ি, থাকার জন্য বাসা ইত্যাদি সবই কোম্পানি থেকে দেয়া হয়।’
নিজস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রেক্ষাপট ও যত সফলতা
বশির বলেন, ‘পড়াশোনা অবস্থায়ই নিজের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক কাউন্সেলিং প্রতিষ্ঠান ‘দ্যা স্টাডি ডক্টর’ নামে। এই কোম্পানির মাধ্যমে গত ৪ বছরে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী বিদেশে সফলভাবে পাড়ি জমিয়েছে উচ্চশিক্ষার জন্য। তাছাড়া কোম্পানিটিতে কাউন্সিলর হিসেবে পার্ট-টাইম, ফুল-টাইম জব করছেন ১০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী। যেহেতু আমি শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছি তাই আমার কোম্পানিতেও শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিয়েছি। যারা চাইলে তাদের পড়াশোনা শেষ করে এখানেই কর্মজীবনের জন্য স্থায়ী হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোম্পানিটি গত বছর মালয়েশিয়ান গভ. কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়। ইচ্ছা আছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই কোম্পানির বিভিন্ন শাখা প্রতিষ্ঠা করার। বিশেষ করে বহিঃবিশ্বের অগাধ সুযোগ ও অপার সম্ভাবনাগুলোকে আমাদের দেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য করার চেষ্টাই আমার মূল লক্ষ্য।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি