যশোরে মালয়েশিয়া মসজিদের আদলে নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩১, আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৩
যশোর ঝিকরগাছায় এবার মালয়েশিয়া প্রবাসী চার ভাইয়ের উদ্যেগে নির্মাণ হবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ।
জানা গেছে, এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করা হবে মালয়েশিয়া সুবাংজায়া রাজ্যে অবস্থিত নান্দনিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত মসজিদে আল ইরশাদের মতো করে ডিজাইন অনুসরণ করে। যা পারসিয়ান সুবাং মেওয়াতে অবস্থিত। এছাড়া ওই মসজিদে একসাথে সহস্রাধিক মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন এবং মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদাভাবে পর্দার আড়ালে নামাজ পড়ার সুবস্থা।
এছাড়াও এতে রয়েছে আধুনিক মানের বিশেষ সুবিধা সম্বলিত একাধিক ওযুখানা, গোসল খানা, টয়লেট, বৈঠক খানা, মুসাফির খানাসহ রয়েছে আরো নানা সুবিধা।
মঙ্গলবার এই মডেল মসজিদ নির্মাণ উপলক্ষে প্রবাসী ব্যবসায়ী চার ভাই মো: মইন খান, জাফর খান, রাসেল খান ও রাজু খানের উদ্যেগে সুবাংজায়ায় সকল প্রবাসীদের নিয়ে মতবিনিময় ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদটি পরিষ্কার পরিছন্ন মনোরম পরিবেশে এক কাতারে সম্মিলিত হয়ে মালয়েশিয়ান ও বাংলাদেশীরা ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ইবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকেন। মালয়েশিয়ার বেশিভাগ জামে মসজিদ সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। গত বছর এই মসজিদেই পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এক কাতারে সম্মিলিত হয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালন করা হয়েছে যা বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: মইন খান বলেন,‘মালয়েশিয়ার সুবাংজায়ায় অবস্থিত আল ইরশাদ মসজিদে মনোরম, পরিছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নামাজ আদায় করে আমরা প্রবাসীরা আত্মতৃপ্তি পাই। এতে আমরা চার ভাই উৎসাহিত হয়ে যশোর ঝিকরগাছায় একটি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ করার স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজ রোজাসহ ইবাদত বন্দেগী করতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা আসন্ন রমজান মাসে এই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করবো, মসজিদ নির্মাণে আমরা প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করেছি অর্ধ কোটি টাকা যা পরবর্তীতে বাড়তেও পারে।’
মইন খান আরো বলেন, ‘আমরা দেশে ও বিদেশে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী যেন দ্বীনের কাজে সফল হতে পারি এবং সকল প্রবাসীদের কাছে আকুল আবেদন তারা যেন নিজ দেশ ও সমাজের কল্যানে সামর্থ্য অনুয়ায়ী আত্মনিয়োগ করেন।’