২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত না পাঠানোর দাবি

বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত না পাঠানোর দাবি - ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ-বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুমকে আটকের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগের যাবতীয় প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেশটির আদালত। একইসাথে বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায় দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারা রাকায়াত মালয়েশিয়া (সুরাম)।

আদালত সেই আদেশ দেয়ার ছয় দিন পর কাইয়ুমকে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্ততি নেয়া শুরু করে অভিবাসন বিভাগ।

মানবাধিকার সংস্থা সুরামের আইনজীবী এন্ড্রু হু বলেন, এম এ কাইয়ুম মালয়েশিয়াতে জাতিসঙ্ঘের ইউএনসিএইচআরের শরণার্থী-বিষয়ক কার্ডধারী। আদালতের নির্দেশনা ফলো করার জন্য অভিবাসন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান মিস্টার হু। একইসাথে কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরও সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই আইনজীবী।
তিনি আরো বলেন, এম এ কাইয়ুম দেশীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার এবং তাকে এই মুহূর্তে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার সমূহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কাইয়ুমকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলে এটা হবে দেশে প্রচলিত সামগ্রিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট বিধি লঙ্ঘন ও অমানবিক কাজ।

মানবাধিকার গোষ্ঠীটির পরিচালক সেভান ডোরাইসামি অভিবাসন বিভাগকে বলে, এম এ কাইয়ুমের নির্বাসনে স্থগিতাদেশ দেয়ার জন্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।

সুয়ারামের নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, বিভাগটিকে অবশ্যই কাইয়ুমকে নির্বাসনের যেকোনো পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।

এর আগে বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে অভিবাসন বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশের অভিযানে তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে বাংলাদেশে জাপানের এক ত্রাণকর্মী সিজার তাভেল্লাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এম এম কাইয়ুম। যদিও কাইয়ুম দাবি করেছেন তাকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement