২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালয়েশিয়া ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়ায় অনিশ্চয়তায় প্রবাসীরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ যে দেশগুলোতে প্রবাসী আছে সেসব দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম অনেক আগেই চালু হলেও এখনো ঝুলে আছে মালয়েশিয়ার ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। মালয়েশিয়ায় চলমান রয়েছে অনিয়মিত শ্রমিকদের বৈধকরণ কার্যক্রম রিক্যালিব্রেশন আরটিকেল টু পয়েন্ট জিরো। সময়ের সাথে ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রবাসীদের।

সংশ্লিষ্ট প্রবাসীরা বলছেন, ‘দ্রুত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু না হলে হাজার হাজার বাংলাদেশী অনিয়মিত প্রবাসী বৈধতা গ্রহণ করতে পারবেন না। কলিং ভিসা ছাড়াও যারা অন্যান্য ভিসায় মালয়েশিয়া এসে বৈধতা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা বেশি সঙ্কটে রয়েছেন।’

তবে দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ‘মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের জন্য যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। সার্ভার ও সিস্টেম প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেলেই যেকোনো সময় এই কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড (ইএসএল) নামে একটি বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভার্চুয়ালি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম মোমেন ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের জন্য কল সেন্টার উদ্বোধন করেন।

রাজধানী কুয়ালালামপুর কোতারায়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: বাশার মিয়া বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বিতরণ এখন মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চললেও মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্যক্রম চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা বাংলাদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেছেন এবং বৈধতা গ্রহণ করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তারা ই-পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পারলে বৈধ হতে পারবেন না।’

কল সেন্টার উদ্বোধন করলেও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম কখন চালু হবে তার সঠিক তারিখ বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

তবে সরাসরি অ্যাক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেডের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম সেন্টার পরিদর্শনে দেখা যায়, আধুনিক মানের সেবা দিতে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা নিয়ে সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।

অ্যাক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মো: গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘এখানে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সেবা দেয়া হবে। এর মধ্যে ৪৫টি কাউন্টার ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন সহস্রাধিক পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।’

অ্যাক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেডের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হওয়ার আগেই বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয় যে কোনো টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানি অ্যাক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেডকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সিস্টেম চালু হওয়ার পরই সিস্টেম ডাউন হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে অ্যাক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেডের এমডির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উপরোক্ত অভিযোগগুলো সঠিক নয়, ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। যার কোনো সত্যতা নেই।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সিলর মিয়া মো: কেয়ামউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement