৪৩ দেশের মিস ইউনিওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের লিওরনা চৌধুরীর সাফল্য
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ১৬ জুন ২০২২, ১৫:৪৪
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্বের ৪৩টি দেশের সুন্দরীদের নিয়ে মিস ইউনিওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশের লিওরনা চৌধুরী।
বুধবার ফাইভ স্টার হোটেল ডব্লিউ’র বলরুমে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে মালয়েশিয়া মিস ইউনিওয়ার্ল্ডের স্থানীয় আয়োজক দাতু রিস তিয়ারা।
লিওরনা চৌধুরী প্রথমে ৪১ নম্বর সিরিয়াল থেকে লড়াই করে ২৮-এ আসীন হন। এরপর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ২৮ থেকে ১৫তে আসেন এবং গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনি সকল ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করে টপ ১২তে অবস্থান করে অবশেষে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন। এ অবস্থান অর্জন করায় তিনি ডায়মন্ড ও গোল্ড কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োজিত হন এবং চিয়ারফুল পারফরম্যান্সের জন্য চিয়ারফুল সার্টিফিকেট পান।
লিওরনা চৌধুরী চট্টগ্রামের মেয়ে। তিনি লিও নামেই বেশি পরিচিত। জন্ম ২৫ ডিসেম্বর। সরকারি চাকরিজীবী বাবার বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বদলির কারণে লিওরনার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের বাইরে।
বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে কিন্তু তার মন-প্রাণ ও স্বপ্নের জায়গা হলো মডেলিং, গান, নাচ
আবৃত্তি। তবে তিনি কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিগত ১০ বছর যাবত মালয়শিয়াতে স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটি থেকে মেধা তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে একই বিষয়ে পিএইচডি রিসার্চ করছেন।
তিনি মালয়েশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ফ্যাশন প্যারেডে ক্যাটওয়াক করছেন। মাল্টি কালচারাল দেশ হিসেবে মালয়শিয়ায় জাতীয় পোশাক কাবায়া, শাড়ি আয়কন ইত্যাদি টাইটেল পেয়েছেন এবং স্থানীয় কোম্পানিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
তিনি ২৮ হাজার বাংলাদেশী স্টুডেন্টস এবং ১৩০ জন বাংলাদেশী প্রফেসরদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফোরাম মালয়েশিয়ার (বারফোর্ম) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একাধারে উপস্থাপিকা এবং গল্প, কবিতা, গান ও মটিভেশনাল উক্তিসহ আন্তর্জাতিক জার্নালে লিখেন।
আবৃত্তি, গান, নাচ, মডেলিং তার প্যাশন। ভালোবাসেন বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে ভিন্ন ভিন্ন দেশের কালচার জানতে। এছাড়া তিনি ফটোগ্রাফি এবং নিজ দেশীয় ও বিদেশী রান্না করাতেও অনেক উৎসাহী।