জোরপূর্বক শ্রম ইস্যুতে তোপের মুখে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী
- মালয়েশিয়া সংবাদদাতা
- ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৫:২২
কলিং ভিসা চালুসহ মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের জিম্মি করে শ্রম আদায় ইস্যুতে একের পর এক সমালোচিত হয়ে তোপের মুখে পড়ছেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান। গত জানুয়ারিতে কলিং ভিসার সিন্ডিকেট প্রশ্নে এবং সম্প্রতি প্রবাসী শ্রমিকদের জোর করে শ্রম আদায় ইস্যুতে মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
সোমবার দেশটির জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়, মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জোরপূর্বক শ্রমের প্রতিকারের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ থেকেই সহজ উপায় অবলম্বন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির পেনাং রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী পি রামাসামি।
এক বিবৃতিতে মানবসম্পদমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী সারাভানানের উচিত কেন জোরপূর্বক শ্রম বিদ্যমান তা খুঁজে বের করা। এর জন্য মার্কিন কূটনীতিককে অনুরোধ করা মানে আমাদের নিজেদের সিস্টেমকে দুর্বলভাবে উপস্থাপন করা।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং মালয়েশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগের যেকোনো তদন্তের বিষয়ে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে যাতে মালয়েশিয়ার পণ্যগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার আগে সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।
মানবসম্পদমন্ত্রী সারাভানান বলেন, বাধ্যতামূলক শ্রমের অভিযোগের কারণে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) দ্বারা বেশ কয়েকটি মালয়েশিয়ান পণ্য রফতানি নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, যদিও মন্ত্রণালয় এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের কোনো বিস্তারিত প্রতিবেদন পায়নি। এটি আমাদের জন্য নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলেছে।
এ ব্যাপারে পি রামাসামি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিবেটে আসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সারাভানানকে। এদিকে মানবসম্পদমন্ত্রী সারাভানান দেশে জোরপূর্বক শ্রম ইস্যুতে পেনাংয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ডিবেটে বসতে সম্মত হয়েছেন।
এর আগে চলিত বছরের শুরুতেই মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান কলিং ভিসায় সিন্ডিকেট ইস্যুতেও দেশটির এনজিও এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তখন মন্ত্রীও সমালোচকদের বিরুদ্ধে পাল্টা সমালোচনা করেছেন।