২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চীনে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চীনে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। - ছবি : সংগৃহীত

চীনের বাজারে ৯৭% শুল্ক মুক্ত পণ্য রফতানির সুযোগটি ২০২৬ সালের পর আর থাকবে না। তাই এখনই আমাদেরকে এ সুযোগটি গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মনসুর উদ্দিন। ‘বাংলাদেশী পণ্যের জন্য ৯৭% শুল্ক মুক্ত সুবিধা: চীনা বাজারে আরো বেশি সুযোগ কিভাবে অন্বেষণ করা যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে চীনে বসবাসরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের উদ্যেগে, চীনা বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধির জন্য এই আলোচনা সভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মনসুর উদ্দিন।

বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংজু, শেনঝেন, ছাংশা, ইইউসহ বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে।

ব্যবসায়ীরা চীন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যের অংশীদার উল্লেখ্য করে বলেন, ১৪০ কোটি জনসংখ্যার একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার হচ্ছে চীন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে এ দেশের জনগণের ক্রয় ক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, সাথে সাথে বিদেশি পণ্যের প্রতি চীনা মানুষের কদর বাড়ছে। তারা চীনের সাথে বাণিজ্যবৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্থাবনা ও পরামর্শ দেন। পাশাপাশি রপ্তানীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা প্রতিবন্ধকতা নিরসনে এম্বাসির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং চীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মনসুর উদ্দিন এই উদ্যেগেকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আপনাদের প্রস্থাবনা, পরামর্শ ও মতামত গুলো মনোযাগ সহকারে শুনেছি এবং লিপিবন্ধ করেছি। চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি আমদানীকারকগণকে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আপনাদের পাশে আছে।

তিনি আরো বলেন, চীন গ্লোবাল সাপ্লাইয়ার হলেও বড় বাজার হ্ওয়াতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর বিদেশী পণ্য আমদানি করে। চীনের বাজারে ৯৭% শুল্ক মুক্ত পণ্য রপ্তানীর এ সুযোগটি ২০২৬ এর পর আর থাকবেনা। তাই এখনই আমাদেরকে এ সুযোগটি গ্রহণ করতে হবে। তৈরী পোষাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফিশারিজ, কৃষি পণ্য, হস্ত শিল্প ইত্যাদি পণ্যের রপ্তানীর বৃদ্ধির জন্য আমাদেরকে আমদানীকারক এন্টারপ্রাইজগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি জোর দিয়ে বলনে, চীনা আমদানীকারকদের বাংলাদেশি পণ্যে সম্পকে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানের জন্য চীনে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চীন বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৯৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে, যা ওই বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল