বাংলাদেশী কর্মী চায় মালয়েশিয়ার চেইন সুপারশপ মাইডিন
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১৪:২২, আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৩১
মালয়েশিয়ায় বিখ্যাত চেইন সুপারশপ মাইডিন। দেশটিতে এই সুপারশপের সারা দেশে ৭৭টি শাখা রয়েছে এবং এসব শাখায় প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কর্মী বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাদেশী কর্মী। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী মালিকানাধীন মারুফ গোল্ডেন রোজ এসডিএন বিএইচডি-এর মাধ্যমে কর্মী নিতে চায় মাইডিন মালয়েশিয়া।
দীর্ঘদিন কলিং ভিসা বন্ধ থাকায় ও করোনা মহামারীর কারণে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সংকটে তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে শ্রমিক সংকটের কারণে সব সেক্টরে উৎপাদনসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে।
মালয়েশিয়ার নির্মাণ ও পাম শিল্প থেকে শুরু করে সব সেক্টরে বাংলাদেশী কর্মীর বিপুল চাহিদা এবং আধিপত্য রয়েছে। দীর্ঘ সময় কর্মী নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এসব সেক্টরের মালিক পক্ষ। এতে করে করোনা মহামারীর সময়ে দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারসহ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে নিয়োগকর্তারা বার বার তাগিদ দিলেও সিন্ডিকেটসহ নানা জটিলতায় আটকে আছে নতুন
করে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া।
মারুফ গোল্ডেন রোজ এসডিএন বিএইচডি মালয়েশিয়ার এমডি মো: মনিরুজ্জামান মাসুম বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার সরকার অনুমোদিত বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি হয়েও বর্তমানে শ্রমিক সংকটের কারণে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। সুপারশপ মাইডিনবসহ অন্যন্যা সার্ভিস সেক্টরে আমাদের কর্মীর চাহিদা ৩ হাজার কিন্তু আমরা সে পরিমাণ কর্মী নিয়োগ দিতে পারছি না এমনকি লোকই খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে সেক্টরগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন সেক্টর থেকে আমাদের কাছে শুধু বাংলাদেশী কর্মী চচ্ছে। অন্যন্যা বিদেশি কর্মীর চেয়ে বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। অন্য দেশের কর্মীকে যদি দেয়া হয় ১০ টাকা, সেখানে বাংলাদেশের কর্মীকে তারা ২০ টাকা দিতেও প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন তিনি যেন দ্রুত শ্রমবাজার খোলার ব্যবস্থা করে এ সেক্টরকে রক্ষা করেন।
চেইন সুপারশপ মাইডিন মোহাম্মদ হোল্ডিং-এর এইচ আর এডমিন জগজিৎ সিং বলেন, সারাদেশে ৭৭টি শাখাতে ৬ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করছে। ওই সেক্টরগুলোতে কর্মী সংকটের কারণে আমাদের স্বাভাবিক বিজনেস ব্যাহত হচ্ছে। তাই কলিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করতে আমরা মারুফ গোল্ডেন রোজ এসডিএন বিএইচডি’কে অনুরোধ করছি এবং তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা বলেছি।
বাংলাদেশি কর্মী কেন তাদের পছন্দ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগজিৎ সিং বলেন, মালয়েশিয়ান নাগরিকরা বাংলাদেশী কর্মীর মত এত পরিশ্রম করতে পারে না, আর বাংলাদেশী কর্মীদের দিয়ে সুপারশপের যে কোনো কাজ করানো যায়, তারা অল্প দিনে মালয়েশিয়ান ভাষা শিখে সব ধরনের কাজ রপ্ত করতে পারে, মালয়েশিয়ানরা ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে আগ্রহী নয়, অন্যদিকে বাংলাদেশীরা ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে প্রস্তুত থাকে, তাই তাদের আকর্ষণীয় বেতন ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে মাইডিন কোম্পানি।