মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশে ফিরল কাইয়ুমের লাশ
- আশরাফুল মামুন
- ২০ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৬, আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৮
মালয়েশিয়ায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া আ: কাইয়ুমের লাশ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমানে দেশে এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় বিমান ল্যান্ড করার পর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে রাত ২টায় স্বামীর লাশ রিসিভ করেন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
দূতাবাসের কর্মকর্তা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ প্রবাসীদের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যে মরহুমের লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় গ্রামের বাড়িতে লাশ পৌঁছার পর জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে। এ সময় কাইয়ুমের লাশ বাড়িতে পৌঁছার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়ালালামপুরের ইউনিভার্সিটি মালায়া হসপিটালে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মাঝিকারা গ্রামের মো: কফিল উদ্দিনের ছেলে মো: আ: কাইয়ুম। মৃত আ: কাইয়ুম ২০০৮ সালে কলিং ভিসায় চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন। বিভিন্ন কারণে এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেননি।
প্রবাসে মৃত্যুর পর তার বৈধ ভিসা না থাকায় দেশে লাশ পাঠাতে প্রায় লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাইয়ুমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তিনি অসহায়, তার এত টাকা দেয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি সরকারসহ প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেন।
তারপর সর্বপ্রথম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন মালয়েশিয়াস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল ও রাসেল শিকদারসহ সংগঠনের সদস্য মো: সাচ্চু মিয়া, মো: বাচ্চু মিয়া, ইখতিয়ার করিম, আমানুল বাছির ঢাকা থেকে তাসবিন, মো: আবদুল্লাহ, বিল্লাল মিয়া। আরো আর্থিক সহায়তা করেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন সেলিম, মালয়েশিয়া প্রবাসী অধিকার পরিষদসহ আরো অনেকে।
তারা আর্থিক ও শ্রম দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে মরহুমের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
মরহুমের লাশ দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে যারা প্রশাসনিক সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন - দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিবেদকসহ বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো: শহিদুল আলম, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) মো: নাজমূস সাদাত সেলিমসহ আরো অনেকে।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মরহুমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, প্রবাসীসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে খুব অল্প সময়ে আমার স্বামীর লাশ দাফন করতে পেরেছি। আমি সবার জন্য দোয়া করছি যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং পাশাপাশি প্রবাসী ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের অনুদান পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।