যে শর্তে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করা যাবে
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৪৭, আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:১৩
দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর অবশেষে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শর্ত শিথিল করলো দেশটির সরকার। যারা ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই তারা কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই দেশটিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন।
শুক্রবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (কেডিএন) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী খয়েরি জামালুদ্দিন।
আগে প্রত্যেক প্রবাসীর সপ্তাহিক কোয়ারেন্টাইন খরচ ছিল প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক প্রবাসী আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন।
নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী খয়েরি জামালুদ্দিন বলেন, ‘আমরা বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী মার্চ থেকে যাদের মালয়েশিয়া প্রবেশের বৈধ কাগজপত্র আছে ওই সব বিদেশীরা যদি করোনার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে সরাসরি আমাদের দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই। তবে এ সময় করোনা টেস্ট করা বাধ্যতামূলক এবং যদি কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়, তাহলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন কিন্তু বুস্টার ডোজ নিতে পারেননি তাদের পাঁচ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী খয়েরি জামালুদ্দিন আরো বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণে জানতে পেরেছি যারা ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন তারা অনেকটা নিরাপদ। তাদের থেকে নতুন করে সংক্রমণ ঝুঁকি কম। তাই আমরা কোয়ারেন্টাইনের শর্ত শিথিল করেছি। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আরো আপডেট করা হবে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ৩ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এ সময় যারা করোনা নেগেটিভ হবেন, তারা যেখানে খুশি যেতে পারবেন এবং কাজ শুরু করতে পারবেন। আর যদি করোনা পজেটিভ হয় তাহলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে যতদিন পর্যন্ত তিনি সুস্থ না হবেন।
খয়েরি বলেন, যারা মালয়েশিয়াতে আগে সিনোভ্যাকের টিকা গ্রহণ করেছিলেন তারা অবশ্যই আগামী ৩১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুস্টার ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় এপ্রিল থেকে তাদের ডোজ গ্রহণের মাইসেহাজাট্রার সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় করোনা সংক্রমন হঠাৎ করেই বেড়েছে। এমনকি প্রথম যখন করোনার সংক্রণে দেশজুড়ে লকডাউন দেয়া হয়েছিল তখনকার সময় থেকে এখন সংক্রমণ বেড়েছে কয়েক গুণ। তারপরও এখনো কোনো লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। তার কারণ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি পতনের আশঙ্কা।