চায়না হাড়িতে উৎসবে মেতেছে বাংলাদেশীসহ মালয়েশিয়ার মানুষ
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৪৬, আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৫৮
মালয়েশিয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে চায়না নিউ ইয়ার (চায়না হাড়ি)। চাইনিজরা বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব পালন করে থাকে তাদের নববর্ষ শুরুর এই প্রথম দিনটিকে কেন্দ্র করে। আর মালয়েশিয়ায় তাদের এ উৎসবে অংশ নেয় দেশটির সর্বস্তরের মানুষ।
দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসরত মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ চায়না জনগোষ্ঠী। মালয়েশিয়ায় পহেলা ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে চায়না নববর্ষ উৎসব। এটি চলবে সপ্তাহব্যাপী।
সরকারি ছুটি ১ দিন হলেও চাইনিজরা ছুটি কাটায় ১ সপ্তাহ। চায়নিজরা তাদের এই নববর্ষ শুরুর সময় প্রত্যেক বছর একটি প্রাণীর নামে নামকরণ করে থাকে। সেই রীতি অনুযায়ী এবারের নতুন বছর বাঘের নামে করা হয়েছে।
চায়নাদের ধর্ম ভিন্ন হলেও মালয়েশিয়ায় সব ধর্মের জাতিগোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে এই উৎসবটি উপভোগ করে থাকে। এই সময় প্রায় টানা এক সপ্তাহ ছুটি থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য, কল কারখানা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাদে বিভিন্ন ভাবে এই ছুটি উপভোগ করে তারা। এই লম্বা ছুটি বছরের আর কোনো সময় পাওয়া যায় না।
এ উপলক্ষে মালয়েশিযায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও এ ছুটি উপভোগ করতে দেশটির বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র, পর্যটন স্পটে বেড়াতে যান। তাছাড়াও দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থাকা প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছে দেখা করতে যান।
দেশটিতে শিল্প কারখানা ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক চায়নিজরা। আর তারা নীতি-আদর্শ ঠিক রেখে নিয়মিত বেতন পরিশোধসহ নানা সুবিধা দেয়ার জন্য এই চায়নিজদের অধীনে বেশিরভাগ বাংলাদেশী কাজ করেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব ও তার স্ত্রী সেরি মুহাইনি জয়নাল আবিদিনসহ চায়নিজদের উৎসবে অংশ্রগ্রহণ করে বলেন, চায়না জনগোষ্ঠীদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলেও এই চায়না হাড়ি আসলে এদেশের সব রকমের জাতিগোষ্ঠীর উৎসব।
কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে এই উৎসব পালন করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় চায়না নেতৃবৃন্দ চায়না রীতি অনুযায়ী তাকে অভ্যর্থনা ও স্বাগত জানান। তারপর চায়নাদের ঐতিহ্যবাহী সিংহ নৃত্য ও ড্রাগন নাচ উপভোগ করে ভোজনে অংশগ্রহণ করেন।