৬০ জন সহকর্মী নিয়ে মালয়েশিয়ায় সামাজিক সংগঠক ও সফল উদ্যেক্তা রিনি
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২২:০৮, আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২২:০৯
প্রবাস জীবন মানেই যুদ্ধক্ষেত্র। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই গড়তে হয় জীবন। কেউ প্রবাসে শ্রম বিক্রি করে, আবার কেউ মেধা, মনন, চিন্তা শক্তি কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠা পায়। সফলতার গল্পের পাশাপাশি ব্যর্থতার গল্পও থাকে ভুরি ভুরি। বিদেশে পুরুষের পাশাপাশি একজন নারীকেও যেতে হয় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে। সেসব প্রতিকূলতাকে জয় করে নিজেকে সামাজিক সংগঠক ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তাহমিনা বারী রিনি। বাংলাদেশ মিশন, কমিউনিটি ও প্রবাসীদের সুশীল সমাজে একটি গ্রহণযোগ্য এবং পরিচিত তাহমিনা বারী রিনি।
এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত মালয়েশিয়ার মতো উন্নত দেশে সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবন ব্যবস্থা বিদ্যমান। নারী ও পুরুষের বৈষম্য যেখানে শূন্যতে সেই সমাজের উদ্যোক্তা হিসেবে তিনিসহ সচেতন প্রবাসী নারী সমাজকে ইতিবাচক অবস্থানে দাঁড় করাতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। মালয়েশিয়ায় পুরুষের তুলনায় নারী প্রবাসীদের বসবাস খুবই কম। নারীদের উৎসাহিত করতে গত মাসে তাহমিনা বারীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো রেডলাইভ জ্যাশ এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড- ২০২১। বাংলাদেশী প্রবাসী নারী-পুরুষদের সংগঠিত করার মাধ্যমে তাদেরকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে তুলে ধরাই এসব কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও আদর্শ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১৯ সালের সেপ্টম্বরেই মালয়েশিয়ায় নারীদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন রিনি’স কিচেন নামে অনলাইন ক্যাটারিং ব্যবসা।
বাংলাদেশে থাকাকালীন সক্রিয় সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে দক্ষ সহযোগী হিসেবে আমার সাথে কাজ করছেন ৬০ জনের অধিক সহকর্মী।
তাহমিনা বারী রিনির পরিচিত
তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় তিনি। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যশোর জেলায় নানার বাড়িতে জন্ম তার। দাদার বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানা শিবরামপুর গ্রামে।
১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম ক্যান্টবোর্ড স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। কুমিল্লা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ১৯৯৯ সালে, গ্রাজুয়েশন শেষ করেন সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে ২০০৫ সালে, মাস্টার্স করেন ইডেন মহিলা কলেজ ২০১২ এবং এমবিএ করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি থেকে ২০১৩ সালে। ২০১৯ সালে পিএইচডি শুরু করেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ায় (আইআইইউএম)।
দুই সন্তানের জননী তিনি। স্বামী সালেহীন কাদির শিপলু একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯৮ সাল থেকে মিডিয়াতে পদার্পণ করেন। পরে স্বামীর ব্যবসার কারণে তাকে চলে আসতে হয় মালয়েশিয়ায়। ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনে নিজেকে সংযুক্ত করেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
শুধু মাত্র নারী বলে নিজেকে লুকিয়ে না রেখে নিজেকেও দেখতে চেয়েছেন সফল মানুষ হিসেবে।