ভালো বেতনে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা বাড়ছে
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৩০
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার ও এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। শুধু তাই নয়, বেতনও থাকছে ভালো।
খুবই কর্মঠ ও পরিশ্রমী হওয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা খুব সহজেই যেকোনো কাজ করতে পারেন- এজন্যই দেশটিতে তাদের চাহিদা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, করোনাভাইরাস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাংলাদেশীরা।
দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসা বন্ধ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশী কর্মীদের প্রতি তাদের বিপুল চাহিদা থাকার কারণে গত ডিসেম্বরে শুধু বাংলাদেশীদের জন্য ভিসাটি চালু করা হয়।
কোতাবারু প্রদেশের মিজান গ্র্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপে কর্মরত কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মো: মাইনুদ্দিন বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় সব সেক্টরেই প্রচুর কর্মী প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি কর্মী দরকার নির্মাণ সেক্টরে। শ্রমিকের অভাবে কারখানা ও সার্ভিস সেক্টরে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর এ জাতীয় সেক্টরগুলোতে উপার্জনও অন্যান্য সেক্টর থেকে বেশি। সাধারণ একজন কর্মী এসব সেক্টরে আট ঘণ্টা বেসিক ডিউটি ও অভার টাইম করে তিন থেকে পাঁচ হাজার রিংগিত আয় করতে পারেন। তবে যারা অভিজ্ঞ এবং সাব কন্ট্রাক্টরি করেন তাদের উপার্জন সবচেয়ে বেশি। তারা মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন।’
মিজান গ্র্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সুপারভাইজার চাঁদপুরের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় এ কোম্পানিতে কাজ করছি। অনেকে মনে করে কনস্ট্রাকশন সেক্টরে পরিশ্রম বেশি, এটি আসলে সত্য নয়। কারণ এখানে কংক্রিট মিক্সিং থেকে পরিবহন সব কাজ করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির সাহায্যে, পরিশ্রমের কাজ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্মাণ প্রজেক্টে মাসে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার রিংগিত আয় করা যাচ্ছে, যা অন্য সেক্টরে করা যায় না।’
মিজান গ্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশী দাতু মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার অর্ধশত কোটি টাকার আটটি কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট চালু রয়েছে, কৃষি খামার আছে বেশ কয়েকটি। এসব খাতে আরো দুই হাজার কর্মী প্রয়োজন। বর্তমানে হাজারেরও বেশি কর্মী কর্মরত আছেন, কিন্তু শ্রমিক সঙ্কটের কারণে আমার প্রজেক্টের কাজ বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না। তাই জরুরি ভিত্তিতে আমার প্রজেক্টের জন্য কর্মী প্রয়োজন।