মালয়েশিয়ায় ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে বৈধকরণ ও দেশে ফেরার সুযোগ
বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তি- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৫৬, আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:০৪
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া ও নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সাধারণ ক্ষমার সুযোগ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে ফেরার জন্য কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসী। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিদিনই দেশে ফেরার জন্য ১৫০-১০০ অভিবাসী বিমানের টিকেট কাটছেন। কিন্তু এর মধ্যে গড়ে ৪০ জন টিকেট কাটার পরেও বিভিন্ন জটিলতায় বিমানে উঠতে পারছেন না।
এতে জানানো হয়, অনেককেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে টিকা না দেয়ার কারণে বিমানে উঠতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে দায়িত্বশীল এক সূত্র বলছে, টিকা না দিলেও সিভিল অ্যাভিয়েশন ও বিমানের নিদিষ্ট নিয়মকানুন মেনে এবং দেশে গিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে বিমানে যাত্রা করে নিজ দেশে যাওয়ার নিয়ম আছে।
কিন্তু কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে এই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না। টিকা না দিলে ফেরত দেয়া হচ্ছে যাত্রীদের।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দেশে ফেরার প্রয়োজনীয় অনুমোদন এখনো না পাওয়ায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আটকে আছেন শত শত অবৈধ অভিবাসী।
আবার ইমিগ্রেশনের রিটার্ন কর্মসূচির অধীনে অনেকে চলে যাওয়ার আবেদন করায় আটকে আছেন তারা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এই কর্মসূচি শেষ হচ্ছে। ১৩ মাস আগে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির অধীনে নথিবিহীন অভিবাসীদের কয়েকটি মানদণ্ড পূরণ করার পর দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, মালয়েশিয়া এই মুহূর্তে অভিবাসন চাপ সামলাতে অক্ষম। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের প্রক্রিয়াগত কাজের ব্যবস্থাপনার জন্য ২০টি কাউন্টার থাকলেও এর মধ্যে কাজ চলছে মাত্র ১০টিতে। ফলে বিপুল অভিবাসীদের চাপ নিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ ও নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে অভিবাসন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া ও সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আবারও বাড়ানো হতে পারে। যদিও মেয়াদ বাড়ানোর কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি।