ছুটিতে আটকে পড়া প্রবাসীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩৬, আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৪৮
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর করোনাকালে যারা ছুটি নিয়ে নিজ দেশে আটকা পড়েছেন তারা ইচ্ছা করলে শর্ত সাপেক্ষে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য মালয়েশিয়া (পিএলকেএস) কাজের ভিসা বা পারমিট থাকা কর্মীরা মাই ট্রাভেল পাসের (এমটিপি) জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনপত্র ইমিগ্রেশন বিভাগ সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যেই যাচাইবাচাই করে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আর এমটিপি আবেদন গৃহীত হলেই কিছু শর্তসাপেক্ষে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করা যাবে।
চলতি সপ্তাহে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক খায়রুল জাজাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। এর আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ থেকে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় মালয়েশিয়া সরকার।
নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পোষ্য, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক ভিসাধারীরা শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন। সাধারণ কর্মীদের ব্যাপারে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
কিছুদিন আগে খায়রুল জাজামি দাউদ বলেছেন, সাধারণ কর্মীরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে মাই ট্রাভেল পাসে আবদেন করে সেখানে উল্লেখিত শর্তগুলো বুঝতে ও মানতে হবে। অভিবাসন বিভাগের নির্ধারিত শর্তগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
দাউদ আরো বলেছেন, জাতীয় মহামারী ব্যবস্থাপনা বিশেষ কমিটি পাঁচটি দেশের কাজের লোকদের পুনরায় প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।
সব শর্ত এমটিপিতে বিস্তারিত উল্লেখ্য আছে। এর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্যগুলো হচ্ছে, মালয়েশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসার কপি, মালিকের যাবতীয় তথ্য উপাত্তসহ এমটিপিতে আবেদন করতে হবে। আবদেন গৃহীত হলে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করা থাকতে হবে। করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট, বিমানের টিকিট, মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নতুন স্থাপিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিজ বা মালিকের খরচে ২১ দিন থাকতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য, আগে কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে ২১ দিন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ দালাল বা এজেন্টদের লোভে পড়লে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এই প্রক্রিয়াটি সহজ ও ঝামেলামুক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রত্যেক কর্মী তাদের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলেই বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। কিন্তু মালিকের সম্মতি ছাড়া মালয়েশিয়া প্রবেশ জটিল হতে পারে।