মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী সবজি-মাছ চাষে বাড়ছে কর্মসংস্থান
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:২০, আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:২১
মালয়েশিয়ার মাটিতে বাংলাদেশী শাক সবজি ও দেশীয় মাছ চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশটিতে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ১ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছেন। যাদের দৈনিক চাহিদা রয়েছে দেশীয় শাক সবজি ও মাছের। প্রথম দিকে চাহিদা থাকলে ও যোগান কম ছিল। সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কার্গো যোগে সবজি ও মাছ সরবরাহ করা হতো তাই দাম একটু বেশি ছিল। এখন দেশটির কিছু কিছু অঞ্চলের হাজার হাজার একর জমিতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের উদ্যাগে চাষ হচ্ছে দেশীয় সব ধরনের শাক সবজি, মাছ ও মুরগী। এতে করে এক দিকে যেমন বিদেশের মাটিতে বাঙ্গালির পাতে পড়ছে দেশীয় চির স্বাদের সবজি ও মাছ মুরগী। অন্য দিকে এই খাতে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে বাংলাদেশী প্রবাসীদের। অর্জিত আয় দেশে পাঠাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স।
এদিকে সবজি চাষ, জমি তৈরি, ফসল রক্ষণাবেক্ষণ, কীটনাশক প্রয়োগ, সবজি ও মাছ সারাদেশে বিপণন ও প্রবাসী গ্রাহকের হাতে পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশী প্রবাসীরাই কাজগুলো করে থাকেন। অনুকূল আবহাওয়া, খরচ কম, সহজলভ্য নিরাপদ জমি,পরিবহন সুবিধা, উর্বর মাটি এবং লাভজনক ও ঝুকি নেই বলে তারা এই খাতে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছেন। আলু, লাউ, সীম, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, বেগুন, ঢেড়স, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বরবটি, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি আমাদের বাংলাদেশে এগুলো শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত। গ্রীষ্মকালে তেমন পাওয়া যায় না। কিন্তু মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোতে সারা বছরেই বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালের মতোই আবহাওয়া থাকে। সারা বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
মাছ চাষের মধ্যে রয়েছে- রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, ব্রিগেড, কানলা, সরপুটি, শোল, টেংরা, কৈ ও বাইম মাছসহ হরেক রকম দেশীয় মাছ সারাবছরই উৎপাদন হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় মাত্র তিন কোটি জনসংখ্যার দেশে দেশটির আয়তন ৩ লাখ ২৯ হাজারেও কিছু বেশি। এতো বিশাল ভূমির বিরাট একটা অংশ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। জনসংখ্যা কম কিন্তু দেশটিতে প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর।
মালয়েশিয়ার মাটিতে বাংলাদেশের সবজি ও মাছ চাষ হচ্ছে আর বাগান থেকে এই পণ্য ভোরে পৌঁছে যাচ্ছে চেইন সুপারশপগুলোতে।