২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া - ছবি : সংগৃহীত

পামওয়েল শিল্প এবং বিভিন্ন প্লানটেশন খাতে জরুরি ভিত্তিতে ৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিভাগ।

এর আগে পাম ও বৃক্ষরোপন খাতে তীব্র শ্রমিক সঙ্কটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশটির চাইনিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সরকারকে অনুরোধ করেন বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার জন্য। পরে সরকারের পক্ষ থেকে বাগান খাতে শ্রমিকের ঘাটতি দূর করতে ৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে। এখন জরুরি প্রয়োজনে উৎস দেশ থেকে কর্ম নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে।

শুক্রবার বিকেলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরী এম সারভানান এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় (এমওএইচআর) স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) কাছে একটি বিদেশি শ্রমিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার চিহ্নিত করেছে যেখানে একসাথে ২ হাজার কর্মচারী থাকতে পারবে।

সারাভানান বিবৃতিতে বলেন, বৃক্ষরোপণ খাতে শ্রমিকের অভাবে জাতীয় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) বছরে ২০ বিলিয়ন রিঙ্গিত ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে তেল খাতে। কিছু সময় আগে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বিদেশি শ্রম নির্ভরতা কমাতে স্থানীয় নাগরিক নিয়োগে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কিন্তু এসব খাতে খাটুনি ও পরিশ্রম বেশি হওয়ায় স্থানীয় নাগরিকরা কাজ করতে আগ্রহী হয়নি তাই বিদেশি শ্রম দ্বারা শূন্যস্থান পূরণ করা দরকার বলে ব্যাখ্যা করেন মানব সম্পদ মন্ত্রী।

এ দিকে পাম বাগানের শ্রমিক সঙ্কট দূরীকরণে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, দেশটির চীনা চেম্বার অব কমার্স।

চীনা চেম্বার অব কমার্স শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই পদক্ষেপ পাম অয়েল শিল্পসহ বৃক্ষরোপণ খাতকে স্বস্তি দেবে। কমার্স বলছে, শিল্প এবং ব্যবসাগুলো কর্তৃপক্ষের সাথে একত্রে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যাতে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত ন্যূনতম মান এবং আবাসন এবং সুবিধার পাশাপাশি ন্যায়সঙ্গত আচরণের ন্যূনতম শ্রম অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে একটি টেকসই অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ ব্যবস্থা তৈরি করা যায়। যাতে করে বিদেশি
শ্রমিকরা এ খাতে কাজ করতে আগ্রহী হয়।

চাইনিজ কমার্স সভাপতি বলেন, মার্কিন সরকার কর্তৃক মালয়েশিয়াকে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে নামিয়ে আনার পর দেশটির রেটিং উন্নত করতে ব্যর্থ হলে দেশের ভাবমূর্তি এবং মালয়েশিযার কোম্পানিগুলোর সুনাম হুমকির মুখে পড়বে বলেও যোগ করেন চীনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি দাতুক লো কিয়ান চুয়ান।


আরো সংবাদ



premium cement